পর্ব ১৬

Màu nền
Font chữ
Font size
Chiều cao dòng

#অপরিণত_নিকাহনামা
লেখনীতে, #AbiarMaria

#১৬

আমীর খুব ভালোভাবে জানে যে এখন তার পিঠে ধুমধাম পড়বে,তাই চিৎকার করেই ঘর থেকে এক দৌড়ে সে পালিয়ে গেল।প্রিয়ন্তি লজ্জা আর ভয়ে এক দৌড়ে আসিফের ঘরের পাশের ওয়াশরুমে ঢুকে গেল।আর আসিফ ঘরের মাঝখানে বোকা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।যদি এখন ওদের কারো বাবা মা এসে কিছু জিজ্ঞাসা করে? তখন ও কি জবাব দিবে?রাগে মন চাচ্ছে আমীরকে মাথার উপর তুলে একটা আছাড় দিতে।এরকম পাঁজি ভাই কারো জীবনে থাকা  উচিত না।মেরে ফেলা উচিত এরকম পিচ্চিগুলো, স্ট্রেইট মেরে ফেলা উচিত! আসিফ কিভাবে ছোট ভাইকে টাইট দিবে,সেই প্ল্যান করতে থাকে।

ওদিকে প্রিয়ন্তি ওয়াশরুমে ঢুকে লজ্জায় লাল হয়ে গেছে।এরকম দুষ্ট দেবর কখনো হয় কারো?বিয়ে হলে ওদের এক সাথে শুয়ে থাকতে দেখলে তখন এই ছেলে কি করত?ভাবতেই প্রিয়ন্তির কান লাল হয়ে গেছে।কানে হুট করে টিইইইইইইইই করে কেমন আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে,মাথাটা ঘুরছে।ভয়ে দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়ালো।নাহ বাবা,এই বাসায় এসে খুব সাবধানে থাকতে হবে।তানাহলে কে কখন ইজ্জত টেনে নিয়ে যায় কে জানে! এমনিতেই সে নতুন বউ,তার উপর এইসব বেইজ্জতি কাজ কারবার।সবাই ভাববে,কি বেশরম মেয়ে একটা! ছি ছি ছি!

আসিফ আর প্রিয়ন্তির ভাগ্য ভালো,আমীরের চিৎকার সবার কানে ঠিকভাবে যায়নি,কিংবা তারা নেয়নি।কিছুক্ষণ পর সবাই যখন খাবার খেতে বসলো,তখন আসিফ আর প্রিয়ন্তি বুঝতে পারলো। তবুও দুজন বেশ দূরে দূরে সরে ছিল সবার কাছ থেকে।কে জানে,কখন আবার কে কি বলে বসে!

খেতে বসল প্রথমে সব পুরুষরা।আসিফের মা খাবার বেড়ে দিতে দিতে আসিফকে খেতে বসতে ডাকলো।আসিফ বসার পর সামনে থাকা গ্লাসে কিছু একটা লেগে আছে দেখল।ডাইনিং এ বেসিনের পাশেই প্রিয়ন্তি দাঁড়িয়ে ছিল।আসিফ প্রিয়ন্তিকে বলল,
"গ্লাসটা একটু ধুয়ে দাও না?"

প্রিয়ন্তিও স্বাভাবিকভাবেই ওর হাত থেকে গ্লাস নিল।আসিফের মা আর বাবা এমন ভাবে আসিফের দিকে তাকালো যেন ও প্রিয়ন্তিকে ধরে পিটাচ্ছে।রাফিদা ছোঁ মেরে প্রিয়ন্তির হাত থেকে গ্লাস নিয়ে ছেলেকে বললেন,
"ও মেহমান না?ওকে দিয়ে কাজ করাচ্ছিস কোন সাহসে?তোর হাত পা নাই?"
আসিফ বুঝতেই পারেনি যে ওর মা এমন করবে।প্রিয়ন্তিও ভ্যাবাচেকা খেয়ে দাঁড়িয়ে আছে।ইসমাইল সাহেব ছেলেকে বললেন,
"বিয়ে ঠিক হতে না হতেই বউকে খাটিয়ে নিচ্ছো?উঠে গিয়ে মায়ের হাত থেকে গ্লাস নিয়ে নিজেরটা নিজে করো।আমি যেন আমাদের বউকে অর্ডার দিতে না শুনি"
কথাগুলো আসিফের বাবা বেশ স্বাভাবিকভাবে বললেও আসিফ একটা ঢোক গিললো ভয়ে।ওর হবু শ্বশুর শাশুড়ী ওর দিকে তাকিয়ে আছে।ওর বাবা তাদের ব্যস্ত করার জন্য বললো,
"বেয়াই,আগে পোলাওটা নেন।আপনার ভাবির পোলাওটা খুব ভালো হয়।এবারের চাল গুলো খুব ভালো পড়ছে বুঝলেন!"

আসিফ গ্লাস ধুয়ে চুপ করে খেতে বসে গেছে,আর প্রিয়ন্তি মুখে হাত চেপে হাসি আটকে সেখান থেকে সরে পড়েছে।শ্বশুর শাশুড়ী যে ওকে খুব একটা কাজ করতে দিবে না,এ ব্যাপারে নিশ্চিত।তবে আসিফের চেহারাটা দেখার মতো ছিল।আর জীবনেও ও বাবা মায়ের সামনে প্রিয়ন্তিকে কিছু অর্ডার করবে না!

ওদিকে আসিফের পাশেই ওর মা জোর করে আমীরকে বসিয়ে দিল।বড় ভাইয়ের পাশে সেই ছেলে কিছুতেই বসবে না।আসিফ তো প্লেটে ডান হাত দিয়ে বাঁ হাতে গাল চুলকে চুলকে ছোট ভাইকে দেখছে আর মনে মনে বলছে, "আহো ভাইয়া,আহো! তোমারে আমি চিপায় ফালায়া একেবারে বেগুন ভর্তা বানাবো!"
অনেক জোরাজোরির পর আমীর ওর পাশে বসে বিড়ালের মতো মুখ করে রাখলো।আসিফ সবার সামনে গলায় পৃথিবীর সব আহ্লাদ ঢেলে বললো, বলল,
"ভাইয়া,আমি তোমাকে খাওয়ায় দেই?"
যেই ভাই ওকে জীবনেও একটা দানা মুখে তুলে দেয়নি,সেই ভাই সবার সামনে যখন অপরাধ সাধনের পর ছোট ভাইয়ের কাছে আহ্লাদ দেখাতে আসে,তখন স্বাভাবিকভাবেই ছোট ভাইয়ের কলিজায় পানি থাকার কথা না।আসিফের কথা শুনে ইসমাইল সাহেব রাব্বানী সাহেবকে বলেন,
"আমার দুই ছেলের মাঝে খুব মিল বুঝছেন"

দুইজন মুরুব্বি হাসিমুখে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে।আমীর এজন্য আর মানা করতে পারে না।আসিফ ওকে প্রথম লোকমা এত্ত বড় করে মুখে ঠেসে দিল যে আমীর মুখ নাড়াতেই পারছে না।ওর চোখে ফেটে কান্না আসছে,কিন্তু মেহমানদের সামনে কাঁদতেও পারছে না,প্রেস্টিজে লাগছে!আমীর অনেক কষ্টে কিছুটা চাবানোর পর একটু পানি মুখে নিয়ে বাকিটা গিললো।এরপরের লোকমায় আসিফ একটা বড়সড় মরিচের টুকরো লুকিয়ে মেখে ভাইয়ের মুখে ঢুকিয়ে দিল।আমীর কয়েক সেকেন্ড পর হঠাৎ করে এ এ এ এ এ এ করে কান্না শুরু করে দিয়ে মুখে থেকে লোকমা বনপ্লেটে ফেলে দিল।আসিফের বাবা চোখ বড় বড় করে বলেন,
"এই! কি হয়েছে?!এরকম করছ কেন?!"
"ভাইয়া আমাকে মরিচ দিছেএএএএএএএএ"
ইসমাইল সাহেব আসিফের দিকে তাকান।আসিফ অপরাধীর মতো মুখ করে বলে,
"আব্বু আমি দেখিনি আসলে!"
আমীর আ আ আ করতে করতে বলে,
"তুমি ইচ্ছা করে দিছ,তুমি ইচ্ছা করে আমাকে মরিচ দিছ,ই ই ই ই ই ই ই"
আসিফ দ্রুত এক লোকমা সাদা ভাত ওর মুখে জোর করে ঠেসে ঢুকিয়ে বলে,
"এটা খা,ঝাল কমে যাবে"
মুখটা ভাইয়ের কানের কাছে এনে বলে,
"আর জীবনে এরকম বদমায়েশি করবি?করলে একেবারে পোড়া মরিচের বালতিতে চুবাবো তোকে।ভাগ!"
আমীর আম্মুউউউউ বলে কাঁদতে কাঁদতে মায়ের কাছে চলে যায়।আর আসিফ চুল ঠিক করে তৃপ্তি সহকারে খেতে থাকে।

খাওয়া দাওয়ার পাট চুকিয়ে আসিফ ছাদে উঠে আসে।ছাদে তখন হেমন্তের রোদ এসে শরীরটা তপ্ত করে দিচ্ছে,আসিফের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম।তবুও ভালো লাগছে আজকে অন্যান্য দিনের চাইতে।কারণ চারপাশে মৃদুমন্দ বাতাস।আসিফ ছাদের কোমর সমান দেয়ালে হেলান দিয়ে আকাশের দিকে মুখ করে দাঁড়ায়। নিজেকে অনেক সুখী মনে হচ্ছে।কয়টা ছেলে এরকম বয়সে পারিবারিকভাবে পছন্দের মানুষটাকে পাশে পায়?কয়টা কলেজের ছেলে নিজের বাবা মায়ের সাথে প্রেমিকার বাবা মাকে নিয়ে খেতে বসে?কার এমন আংটি বদলের সৌভাগ্য হয়?কার বাবা মা একই ভাবে ক্যারিয়ার আর বিয়েকে পাশাপাশি রাখে?যদিও ও বিয়ে করতে চায়নি,তবে খুব শীঘ্রই ও যে প্রিয়ন্তিকে বিয়ে করে ফেলবে,এতে কোনো সন্দেহ নেই।আসিফ ভাবে,ইশ,প্রিয়ন্তি যদি এখন ছাদে আসত,যদি মেয়েটা ওর হাত ধরত! কবে সেই দিন আসবে যেদিন নির্দ্বিধায় ও প্রিয়ন্তিকে ছুঁয়ে দিতে পারবে আর বলবে, "প্রিউ!আমার প্রিউ!"

আসিফে চোখ খুলে সামনে তাকিয়ে দেখে প্রিয়ন্তি ওর সামনে দাঁড়িয়ে মিষ্টি করে হাসছে।আসিফ হেসে বলে,
"কল্পনা শক্তি দেখছি আমার খুব প্রখর।তোমাকে সামনেই দেখা শুরু করেছি!"
প্রিয়ন্তি ওর হাতে চিমটি কেটে বলল,
"কল্পনা না,আমি সত্যিই এসেছি,এই দেখো!"
চিমটি খেয়ে আসিফ রীতিমতো লাফিয়ে ওঠে। প্রিয়ন্তির কাঁধে দুই হাত রেখে ওর পেছনে তাকায়,চারপাশে তাকায়।কেউ নেই তো?প্রিয়ন্তি বলল,
"এত ভয় পাচ্ছো কেন?!কি হয়েছে?"
"আমীর যদি আশেপাশে থাকে,তাহলে আমার খবর আছে।একেবারে আব্বু আম্মুকে ডেকে এনে দেখাবে যে আমি আর তুমি প্রেম করতেছি!"
প্রিয়ন্তি হি হি হি করে হাসতে শুরু করে।আসিফের পাশেই দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে বলে,
"ও এত ক্ষেপে আছে কেন?"
"আরে,গত রাতে আমি কোলবালিশ দেইনি এজন্য।তাছাড়া দুপুরে ভাতের ভেতর বড় একটা মরিচ দিয়ে ওর মুখে ঢুকিয়ে দিয়েছি। ও তো সুযোগ পেলে আমাকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়বে!"
"আমি আমীরকে ঘুষ দিয়ে এসেছি তো!ওকে কত গুলো চকলেট ধরিয়ে দিয়ে এসেছি।ও কিছু বলবে না,চিন্তা করো না"
"ও চকলেট নিল?ও কিন্তু সহজে এসব খায় না!"
"নিতে চায়নি তো!যখন আমি ওকে চকলেট দিলাম,বলল, আমি নাকি চাই ওর দাঁত সব পোকা খেয়ে ফেলুক,এজন্য ইচ্ছা করে এসব খাওয়াচ্ছি।বললাম যে,একদিন খেলে কিছুই হয় না।সে চকলেট দেখে বলল, তুমি নিশ্চিত চকলেটের ভেতর মরিচ দিয়ে রেখেছ!অনেক কষ্টে ওকে বুঝালাম যে এমন কিছুই না।এখন বুঝতে পারছি,সব তোমার দোষ!"
আসিফ হাসতে হাসতে বলল,
"এখন আর ও আমার সাথে লাগতে আসবে না।লাগতে আসলে একদম ধরে টাইট দিব আরেকটা!"
"ছিঃ, ছোট ভাই বোনের সাথে এমন করে না!"
"তুমি তো এখনও এই বাসায় পার্মানেন্ট হওনি।হলেই বুঝবে, আমার ভাই কি চিজ!"

ঠিক এই সময় সে কি চিজ,এটা প্রমাণ করতেই আমীর সিঁড়ি বেয়ে উঠে আসলো।আমীরকে দেখে প্রিয়ন্তি আসিফের কাছ থেকে একটু দূরে দাঁড়িয়ে অন্য দিকে তাকিয়ে থাকে,যেন আসিফকে চিনেই না! আমীর সোজা প্রিয়ন্তির কাছে এসে বলে,
"তোমার বোন দুটো একদম ভালো না! আমি যেই খেলাটাই খেলতে চাই,সেটাই খেলবে না!কিচ্ছু পারে না।তুমি বলছ ওদের সাথে খেলতে।ওরা আর সুবাহ আপু,সবাই গাধা! আমি এইজন্যই মেয়েদেরকে পছন্দ করি না!ছেলেরা মেয়েদের সাথে কখনো খেলে না! মেয়েরা হচ্ছে সবচেয়ে বোরিং! তোমার একটা ভাইকে আজকে আনতে পারলা না?মেয়েদের সাথে আমি স্কুলেও খেলি না!মেয়েরা ফালতু!সব ফালতু!"

চিৎকার করে এগুলো বলে ঝড়ের মতো যেভাবে সে এসেছিল,সেভাবেই ছাদ থেকে চলে গেল।প্রিয়ন্তি হাঁ করে তাকিয়ে আছে।আমীর এগুলো কি বলে গেল?আসিফ পকেটে হাত ঢুকিয়ে হাসতে হাসতে বলল,
"দেখলে তো আমার ভাই কি চিজ?"
"বাপরে বাপ!মনে হলো যে কথা বললো না,মুখ দিয়ে গুলি ছুড়লো! আমার দেবর তো পুরোই বিচ্ছু!"
"বলেছিলাম তোমাকে।শুধু শুধু ওকে কি আর আমি ধরে মরিচ খাওয়াই?!"

একটু পর পাশের ছাদে দুজন মহিলা কাপড় ছড়াতে আসে।একজন কিছুটা স্বাস্থবান,আরেকজন তার তুলনায় কিছুটা শুকনো এবং ছোটখাটো। স্বাস্থ্যবান মহিলার নাম কেয়া,আর ছোটখাটো মানুষটির নাম রিতা। কেয়া নামের মানুষটি ছাদে উঠে পাশাপাশি দুজন কম বয়সী ছেলেমেয়েকে দেখে বলে,
"দেখছেন ভাবী,আজকালকার ছেলে মেয়েরা এখন ছাদে ছাদেও কিভাবে প্রেম করা শুরু করছে?কোন কলি যুগে আইসা পড়লাম আমরা! আমাদের সময় তো লজ্জায় একজন আরেকজনের দিকে তাকাইতেই পারছি না!আবার দাঁড়ামু পাশাপাশি? ছি ছি ছি ছি!নির্লজ্জ পোলাপান!"

উনার মন্তব্য আসিফ আর প্রিয়ন্তি স্পষ্ট শুনতে পায়।প্রিয়ন্তি ঘাড় ঘুরিয়ে অপরিচিত একটা মহিলাকে তার দিকে তীর্যক দৃষ্টিতে তাকিয়ে এরকম মন্তব্য করতে শুনে বেশ অবাক হয়।সে কি জানে না আসিফ আর প্রিয়ন্তির যে আংটি বদল হয়ে গেছে? প্রিয়ন্তি কন্ঠ উঁচিয়ে বলে,
"আন্টি,আমাদের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে,আমরা প্রেম করছি না।এই যে দেখেন,আমাদের এনগেজমেন্ট ও হয়ে গেছে!"

পাশের বাসার কেয়া ভাবী চোখ বড় বড় করে ফিসফিস করে আশাকে বলেন,
"দেখছেন আশা ভাবী!এই টুকু বাচ্চাকাচ্চার নাকি আংটি বদল হইছে?ওদের নাকি আবার বিয়া?!নাক টিপলে এখনও দুধ বাইর হইব,আর এই মাইয়া কি কয়?!"
"ভাবী!ছেলেটা আসিফ না? আসিফের এই বয়সে ওর মা বিয়া দিব?আমাদের তো কিচ্ছু বলে নাই,হ্যাঁ!"
"এই তাইলে আসিফের মার হাঁড়ির খবর? দাঁড়ান ভাবী,সব কথা বাইর করতাছি!"

ওদিকে প্রিয়ন্তিকে নিয়ে আসিফ দ্রুত ছাদ থেকে নেমে আসে।এই মেয়ে অলরেডি মুখ ফসকে যা যা বলে ফেলেছে,তাতে পাশের বাসার গোয়েন্দা আন্টি কি বোম ফাটাবে তা কালই টের পাওয়া যাবে!!!

চলবে...

বিঃদ্রঃ আমার ফেসবুকে গ্রুপে একটা প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছি।সেখান প্রথম পর্বে আমার যে কোনো গল্পের রিভিও দিতে হবে।মোট ৫টি পর্ব আছে।প্রতিযোগিতা শেষে আকর্ষণীয় পুরষ্কার আছে।আগ্রহীরা যোগাযোগ করতে পারেন।

Bạn đang đọc truyện trên: Truyen2U.Pro