পর্ব ৩৭

Màu nền
Font chữ
Font size
Chiều cao dòng

#অপরিণত_নিকাহনামা
লেখা- #AbiarMaria

#৩৭

দুই প্রেম পাখির সারারাতেও ঘুমুতে পারলো না। আসিফ কোনো মতে রাতের খাবার খেয়েই প্রিয়ন্তির ফোনে লাগাতার কল দিতে থাকলো। প্রিয়ন্তি তো আর অবসর না, রাতের খাবার বাড়তে মাকে সহায়তা করতে হয়, তারপর খেয়ে দেয়ে সব গুছিয়েও রাখতে হয়। আসিফ ফোন করে দুবার ওকে ব্যস্ত পেয়ে অস্থির হয়ে গেল। শুধু মনে হচ্ছে প্রিয়ন্তি কেন অবসর হচ্ছে না?
ওদিকে প্রিয়ন্তির অবসর হয়ে নিজের ঘরে আসতে আসতে রাত ১১টা বেজে গেল। আসিফকে ফোন দেয়ার সাথে সাথে ওপাশ থেকে ও বলতে শুরু করল,
"এতক্ষণ লাগলো ফ্রি হতে? আমি সেই কখন থেকে তোমার অপেক্ষায় সময় গুনছি! ঘড়ির কাঁটা আজকে মনে হচ্ছে যেন চলছেই না!"
"হুম! সাহেবের তো এমন মনে হবেই। আজকের রাত কিন্তু ফুরাবার নয়, তাই একটু অপেক্ষায় তা আরও মধুর হয়!"
"আর মধু। বউ এক বাসায়, আমি আরেক বাসায়। বউকে কাছে পেলেই না বুঝতাম মধু কেমন!"
"যা করেছ আজকে! আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না যে আমি তোমার বউ"
"আসব? এসে বিশ্বাস করিয়ে দেই?"
"না না, খবরদার! তুমি আসলে আমি শেষ"
"হুম, সত্যিই, আমার ভালোবাসায় তোমাকে শেষ করে দিব"
প্রিয়ন্তি লজ্জায় শুয়ে পড়ে বালিশে মুখ গুঁজে থাকলো। ওপাশ থেকে আসিফ বলে যাচ্ছে,
"আজকের রাতের মত মিস তোমাকে আগে কখনো করিনি। এত ভয়াবহ মিস কেউ কাউকে করতে পারে, সেটা বিয়ের আগে পর্যন্ত আমার জানা ছিল না। সত্যি বলছি, একটা শব্দ, কবুল আমাদের পুরো সম্পর্কটাকে বদলে দিল। এত দিন অনেক সংকোচ, অনেক ভয়, অনেক চিন্তা কাজ করত। আজ সব দেয়াল ভেঙে তুমি আমি এমন এক সীমানায় এসে দাঁড়িয়েছি, যেখানে আমাদের কোনো সীমা নেই।"
"ভুল বলেছ। এখনো একটা দেয়াল ভাঙেনি"
"কোনটা?"
"তোমার চাকরির দেয়াল। এখন যদি জানে উনারা, ঝামেলা হবে। আবার আমাদের মায়েরাও জানে না। শুধু মা কেন? আমাদের বাবা ছাড়া পরিবারের কোনো সদস্যই জানে না। পরিবার মানে তো চাচা-মামা, খালা-ফুপু, সবাই। আমার জানো খুব খারাপ লাগছিলো কবুল বলার সময়। আমার আত্মীয়, শুভাকাঙ্ক্ষী, কেউ নেই! কত স্বপ্ন দেখেছি, অথচ এখন বিবাহিত হয়েও ওদের সামনে অবিবাহিতার নাটক করতে হবে। কেমন যেন খারাপ লাগছে"
"এভাবে দেখছ কেন? তার চেয়ে ভাবো, আমরা লুকিয়ে লুকিয়ে প্রেম করছি। পুরো পৃথিবী জানে না আমরা প্রেম করছি, পুরো পৃথিবীর কাছ থেকে আমাদের ভালোবাসার জগতটা আলাদা। সেখানে তোমার আমার ছাড়া আর কারো বিচরণ নেই। কেউ কখনো এর মাঝে ঢুকেও যেতে পারবে না!"
"কিন্তু পুরো পৃথিবী তো বাঁধা ঠিকই দিবে। আজকের রাতটা তো তুমি আমি একত্রে থাকতাম। থাকতে পারলাম কই?"
"ইশ, বাবাকে বলে তোমাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করলেও পারতাম!"
"ম্যানেজ করবে কি করে? আম্মু তো আমাকে কোথাও থাকতে দেয় না"
"কেন, তোমার চাচী আছে না? বাবা মাকে বললেই তো হত যে তুমি উনার বাসায় আছ"
"আর আম্মু যখন চাচীকে কল দিত, তখন চাচী যে আকাশ থেকে পড়ত? তার সমাধান কি?"
"আহ! তুমি কি কোনো বান্ধবীর বাসাতেও থাকো না?"
"না। বাসাতে নিষেধ"
"আমি তোমার স্বামী। এখন আদেশ দিলে তুমি কিন্তু বাধ্য! আমি বললেই তোমাকে আমার কাছে আসতে হবে"
"ঘোড়ার ডিম। আম্মু তোমাকে দিবে ঝাড়ু দিয়ে"
"নিজের জামাইকে?"
"উনি কি জানে তুমি যে অলরেডি জামাই হয়ে গেছ?"
"হুহ। আচ্ছা, বউ, একটা গান শোনাও না? তোমার কন্ঠে গান শুনতে ইচ্ছা করছে খুব"

প্রিয়ন্তি কিছুটা ভেবে সুর তুললো,

জানাম, দেখ লো মিট গায়া দুরিয়া...
ম্যায় ইয়াহা হু, , ইয়াহা হু, ইয়াহা হু ইয়াহা
কেয়ছি সারহাদে কেয়ছি মাজবুরিয়া
ম্যায় ইয়াহা হু, ইয়াহা হু, ইয়াহা হু ইয়াহা

তুম ছুপা না ছাকোগি ম্যায় ও রাজ হু
তুম ভুলা না ছাকোগি ও আন্দাজ হু,
গুনজাতা হু জো দিল মে তো হ্যায়রান হো কিউ
ম্যায় তুমহারে হি  দিল  কি  তো আওয়ায়ায  হু
সুন সাকো, তোহ সুনো ধাড়কানো কি  যুবান
ম্যায় ইয়াহা হু, ইয়াহা হু, ইয়াহা হু, ইয়াহা...

গান শেষ হলো, কিন্তু তার রেশ রয়ে গেল। আসিফ মুগ্ধ স্বরে বলল,
"এত সুন্দর কন্ঠে আরও আগে গান কেন শুনলাম না! গত চার বছরে একবারও শুনলাম না কেন?!"
ওপাশ থেকে প্রিয়ন্তি লাজুকভাবে হাসছে। আসিফ আবারও বলছে,
"শাহরুখ ভাইয়ের কি কপাল দেখো! বিয়ে না করেও প্রীতির সাথে কি রোমান্টিক সময়, কাটিয়ে ফেলেছে এই ছবির মাধ্যমে! আর আমি বিয়ে করে বউয়ের সাথে ফোনে কথা বলি! মানে আছে এসবের?!"
"এক কাজ করো। আর্মি বাদ দিয়ে হিরো হয়ে যাও। অনেক নায়িকার সাথে রোমান্স করতে পারবে"
"আমার যে প্রিয়ন্তি নায়িকা দরকার, আর কোনো নায়িকা দিয়ে কি করব!"
"আচ্ছা?!"

এভাবে সারারাত দুজন কথা বলে কাটিয়ে দিল। আসিফ আগেই ৫০০ টাকা রিচার্জ করে রেখেছিল ফোনে সারারাত কথা বলার জন্য। যখন ফজরের আযান দিচ্ছে সব মসজিদে, তখনও এক তৃতীয়াংশ টাকা বেঁচে গেছে ওর। মিনতির সুরে আসিফ বলল,
"আরেকটু কথা বলি?"
"নামায পড়তে হবে তো"
"আচ্ছা, নামায পড়ে আবার কথা বলব"
"আমার যে ঘুম পাচ্ছে খুব? সকালে উঠলে তো আম্মু বকবে, ঘুমাতে দিবে না"
"আহ, বাসর রাতে মেয়েরা এত ঘুমায় না। আমি জানি"
"ছিঃ ছিঃ ছিঃ, কি সব নির্লজ্জ কথাবার্তা!"
"নির্লজ্জের কি আছে? জামাই বউ সারারাত গল্প করে কাটাতে পারে না? শোনো, জীবনে বহু রোমান্সের রাত আসবে। কিন্তু এই রাতের সাথে সেসব রাতের তুলনা করা অসম্ভব। এইটা একজন নারী আর পুরুষের জীবনের প্রথম হালাল রাত যেদিন তারা দুজন দুজনকে আবিষ্কার করতে পারে, ভালোবাসার স্বপ্নের সংসার শুরু করে"
"বুঝলাম। আজকে তাহলে রাখি? পরে নাহয় ঘুম থেকে উঠে আবার কথা বলব?"
"রাখবা?"
"হুম, রাখবো তো। রাখি"
"আচ্ছা রাখো, রাখতে চাচ্ছো যখন, আর কি বলার আছে!"
"ইশ, আমার দোষ এখানে?"

রাখি রাখি করতে করতেও ওদের আরও পনের মিনিট কেটে গেছে। আকাশ ফর্সা দেখে প্রিয়ন্তি আঁতকে উঠে তাড়াতাড়ি ফোন কেটে দিল। তারপর নামায পড়ে শুয়ে শুয়ে জানালা দিয়ে দেখা যাওয়া এক ফালি আকাশের দিকে চেয়ে রইল। ওর ঘুম পাচ্ছিল এই কথাটা মিথ্যা। তবে কেন যেন বারবার আসিফের প্রেমময় বাক্যবাণে দুকান লাল হয়ে যাচ্ছিল। যে আসিফের সাথে ওর আজ সারারাত কথা হয়েছে, তার সাথে আগের আসিফের তেমন একটা মিল নেই। এই আসিফ মন খুলে ভালোবাসা প্রকাশ করে, এই আসিফ পাগলামী করে, এই আসিফ একটু সময় প্রিয়ন্তির সাথে কাটানোর জন্য সব কিছু উল্টোপাল্টা করে দিতে পারে। প্রিয়ন্তি বালিশ বুকে চেপে ভাবে, একটা কথা আসিফ ঠিক বলেছে। বিয়ের পর এই যে রাত, এই রাতে বাসর না হলেও এই রাতের বিশেষ রাত আর হবে না। এই রাতের স্মৃতি যতদিন বেঁচে থাকবে, ভোলা হবে না। থুরথুরা বুড়ি হলেও মনে থাকবে এই ভালোবাসার পাগলামী গুলো।

একদিন পর ছুটির দিন আসিফ বাসায় আসলো। দুপুরের রান্নায় সময় প্রিয়ন্তি ওর মাকে রান্নাঘরে সাহায্য করছিল। সকালে কোচিং-এর ক্লাস করে মাকে সময় দেয়ার সময় বসার ঘরে আসিফের কন্ঠ শুনতে পেল। শোনার ভুল ভেবে যখন আবার সবজি কাটায় মন দিচ্ছে, তখন শ্রাবন্তি এসে বলল,
"আসিফ ভাইয়া আসছে। আব্বু শরবত আর নাস্তা দিতে বলছে"
প্রিয়ন্তির বুকের ভেতর খুশির দামামা বেজে উঠেছে। আসিফের কাছে যাওয়ার জন্য ওর সমস্ত তনু মন তখন অসহ্য সুখের যন্ত্রণায় ছটফট করছে। দ্রুত একটা ট্রে রেডি করে বসার ঘরে চলে গেল। ওর বাবা আসিফের সাথে বসে কথা বলছে। প্রিয়ন্তি নাস্তার ট্রে আসিফের সামনে রাখার সময় আসিফ শ্বশুরের অলক্ষ্যে ওর হাত খানা ছুঁয়ে দিল৷ আসিফের হাতের স্পর্শ ওর সমস্ত দেহে একটা ঝাঁকুনি দিয়ে গেল। দ্রুত ট্রে রেখে ওর পাশে দাঁড়িয়ে পড়ল। রাব্বানী সাহেব মেয়েকে বললেন,
"আসিফ বলছে দুপুরে তোকে নিয়ে বাইরে খেতে যাবে। তোর আম্মুকে জিজ্ঞাসা করে আয় এই ব্যাপারে"

প্রিয়ন্তি এক দৌড়ে মায়ের কাছে গিয়ে বলল,
"আসিফ বলছে বাহিরে খাবে আজকে দুপুরে। আব্বুও বলল সাথে যেতে। যাই?"
আয়শা একবার মেয়ের মুখের দিকে ফিরে রান্নার দিকে মনোযোগ দেন। হাত নেড়ে বলেন,
"যা, তোর আব্বু বললে তো যাবিই"
প্রিয়ন্তি আনন্দে ডুবে থেকে খেয়ালই করতে পারলো না কখন তার মায়ের কপাল কুঁচকে গেছে বিরক্তিতে।

আধাঘন্টার মাঝে আসিফ প্রিয়ন্তিকে নিয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে আসলো। তার একটা সিএনজি নিয়ে উঠে পড়ল।
"আমরা কোথায় যাচ্ছি?"
"আমার ফ্রেন্ডদের সাথে দেখা করতে। এত দিন স্কুল আর কলেজের বন্ধুদের চিনতে। এখন পরিচয় করাবো আমার আর্মির বন্ধুদের"
"ওরা কি আমার বিয়ের খবর জানে?"
"শুধু আমার রুমমেট ইয়াসিন জানে"
"আচ্ছা। উনি জানাতে কোনো সমস্যা হবে না?"
"ও তো আমাদের বিয়েতেও ছিল। সমস্যা হলে কি বিয়েতে ডাকতাম? তুমি খেয়াল করোনি বোধহয়"
"আমার যা অবস্থা ছিল, নিজের মাথাই তো ঠিক ছিল না!"
আসিফ প্রিয়ন্তির হাত চেপে ধরল।
"আমি আছি তো সব ঠিক করার জন্য"

সারাদিন ওর পাঁচ বন্ধুর সাথে আড্ডায় কেটে গেল। দুজন আবার তাদের গার্লফ্রেন্ডদের নিয়ে এসেছে। প্রিয়ন্তি বেশিরভাগ সময় মেয়েদের সাথে আড্ডায় কাটিয়েছে। বিকেলের দিকে আসিফ সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে প্রিয়ন্তিকে নিয়ে বের হলো। তারপর একটা বক্স দিয়ে বলল,
"বক্সটা খোলো"
"কি এটা?"
"না খুলে শুধু শুধু প্রশ্ন করে কি লাভ? খুলে দেখলেই তো পারো"
প্রিয়ন্তি অধৈর্য হয়ে বক্স খুলে তাজ্জব হয়ে গেল। বক্সে লেটেস্ট নোকিয়া এন নাইন্টি ফাইভ সিরিজের কালো একটা ফোন। ঐ সময় এটাই নতুন লঞ্চ হওয়া সবচেয়ে জনপ্রিয় হ্যান্ডসেট। প্রিয়ন্তি খুশি কেঁদে বলল,
"আমার জন্য এনেছ এটা?!"
"হুম। আমার বউ এখন থেকে আমাকে ছবি তোলে পাঠাবে, ভিডিও পাঠাবে। এইজন্য এই সেট"
"আমার জন্য?"
আসিফ হাসছে। প্রিয়ন্তি বারবার ফোন ছুঁয়ে দেখছে। ওর বিশ্বাস হচ্ছে না এই ফোনের মালিক ও এটা ভেবে। কিছু সময় পরে কিছুটা অপ্রতিভ কন্ঠে বলল,
"আম্মু যদি কিছু বলে?"
"মাকে বলবা আমি দিয়েছি। আব্বু তো সব জানেই। তবে একটা শর্ত আছে। ফোন পেয়ে পড়ালেখা খারাপ হলে কিন্তু চলবে না। আমি চাই তুমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পাও"
"হুহ! বিয়ে করে মাথাটা তো আমার গেছে। কিচ্ছু পড়তে পারি না"
"এসব হলে হবে না প্রিয়ু। তোমাকে নিজের ভালো, নিজের ক্যারিয়ার, নিজের পড়ালেখার দিকে সর্বাবস্থায় ফোকাস রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমি একজন আর্মি ম্যান। আমি পুরোপুরি এই দেশের, আর কারো না। তাই নিজের জন্য তোমার নিজেকে সবসময় দাঁড়াতে হবে"
"তোমাকে তার মানে এখানও আমি পুরোপুরি পাইনি?"
"আমি আমার দেশের। দেশকে দিয়ে যা বাকি থাকবে তা তোমার। কথাটা শাব্দিকভাবে হালকা, কিন্তু এর অর্থ তোমার জন্য অনেক ভারী, আমি জানি। তবুও এটাই সত্য"
"আমাদের কি তাহলে এভাবেই দিন কাটবে? মাঝে মাঝে তব দেখা পাই, চিরদিন কেন পাই না? মাঝে মাঝে তব ছবি পাই, চিরদিন কেন পাই না?"

প্রিয়ন্তির ছলছল চোখের দিকে চেয়েও আসিফ হেসে দিল। হাত চেপে ধরে বলল,
"খুব বেশি দিন না। পারমিশন পেলেই আমার কাছে নিয়ে আসব। তখন ক্যান্টনমেন্টে আমাদের নতুন সংসার শুরু হবে। এখন যে এত প্যারা নিচ্ছো, তখন সংসার করতে করতে বিরক্ত হয়ে যাবা!"
"তবুও সংসার তো হবে! এনগেজমেন্ট এর চার বছর বিয়ে করলাম, সংসার শুরু করতে আরও কত বছর অপেক্ষা করতে হবে তা আল্লাহই জানেন!"
"আপাতত সব বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় এডমিশন টেস্টের দিকে মনোযোগ দাও। সংসার না শুধু, পাশাপাশি চাকরিও করতে হবে কিন্তু!"

প্রিয়ন্তিকে বাসায় পৌঁছে দেয়ার সময় আসিফ হাসি দিয়ে কাছে এসে বলল,
"একটা চুমু খাই?"
প্রিয়ন্তি মুখ ভেংচে বলল,
"এমন ভাবে বলছ যেন এটা একটা ক্যান্ডি! আমি পারমিশন দিলেই টপ করে খেয়ে নিবা!"
"এরকমই তো। পারমিশন ছাড়া তো বউকে জোর করতে পারি না তাই না?"
"তোমার পারমিশনের গুষ্টি কিলাই! সিগারেট খেয়ে আমাকে এসব বলতে তোমার লজ্জা লাগে না? গন্ধ মুখে তুমি নতুন বউয়ের কাছে আসো অসভ্য! থু!"
আসিফের বুকে ধাক্কা দিয়ে প্রিয়ন্তি সরে আসে। তারপর ঘুরে যেতে যেতে বলল,
"সিগারেট যতদিন না ছাড়তে পারবা, ততদিন ঐ নির্লজ্জ মুখ নিয়ে আমার কাছে আসবা না! ইশ, কি গন্ধ, ইয়াক!"

আসিফ হাঁ করে প্রিয়ন্তির চলে যাওয়ার পথে চেয়ে থাকল। মেয়েটা দৃষ্টির আড়ালে চলে গেলে হাত এনে মুখে শ্বাস ছেড়ে গন্ধ শুঁকলো। মনে মনে ভাবছে, কোথায় সিগারেটের গন্ধ? কোনো গন্ধ নেই তো! সিগারেট তো খেয়েছি সেই দুপুরে ওদের বাসায় যাওয়ার আগে। এর মাঝে নাস্তা লাঞ্চ সহ কত কি মুখে গেছে। এখনো কি গন্ধ আছে নাকি? মেয়েটা এমন সিগারেট নিয়ে রেগে যায় কেন? ইশ, এই বউ গুলো র‍্যাবের ডগ স্কোয়াডের চেয়ে ডেঞ্জারাস। দিনের কোন এক সময় এক টান দেয়া সিগারেটের গন্ধ কি করে তারা পায় আল্লাহ জানে! ডগ স্কোয়াডও এদের কাছে ফেইল মারবে রে ভাই!"

চলবে...

Bạn đang đọc truyện trên: Truyen2U.Pro