১৮

Màu nền
Font chữ
Font size
Chiều cao dòng

আমি আবার, আর একটা বার
লেখা #AbiarMaria

১৮

তরীকে অনেকবার বলার পর, অনুরোধের পর শেষ পর্যন্ত পার্লারে নেয়া গেছে। তাও আবার সেখানে সে ব্রাইডাল সাজ দিবে না, সিম্পল সাজ দিবে। জিসানের ছোট দুইবোনের মাঝে নিসাই বেশ ঠোঁট কাটা। সে সবার সামনে বলেই দিল,
"আমার ভাইয়ের কপালই খারাপ! বউকে বউয়ের সাজে দেখার ভাগ্য তার হবে না"
তরী তারপরও নিজের মতামতে অটল থাকলো। কারণ ও এখন দুই সন্তানের মা। ওর এত সাজ মানায় না! মানিয়েছিল যখন ও নববধূ ছিল। আজ সে অন্যের ঘরে নতুন করে যাবে, এই যা। নববধূ নয় সে, পুরাতন বধূ।

তরীকে সিম্পলভাবে যতটা সাজানো যায়, সাজালো। চুল সব গুলো পেছনে নিয়ে বড় করে খোপা করে তাতে সাদা রঙের গোলাপ, জারবেরা আর বেলী ফুলে গুজরাটি বউদের মত করে বিশাল খোপা করে দিল। কপালে টিকলি না দিয়ে পরালো ঝাপটা, কানে টানা দুল, গলায় চোকার আর হাত ভর্তি চুড়ি। তারপর সাদা শুভ্র রঙের পাথরের কাজ করা শাড়ি পরিয়ে দিল। সব শেষে পাথরের কাজ করা আঁচল মাথায় টেনে দিল। তরীর সব সাজ শেষে যখন ওকে আয়নার দিকে ঘোরানো হলো, তখন ও খুব হতাশ হলো। ও চাচ্ছিলো, ওকে যেন ওর আর ইমরানের বিয়ের দিনের চাইতে অনেক সিম্পল লাগে, এখন উলটো হয়ে গেছে। সেদিন সেজেছিল লাল শাড়িতে, আজ সাদা শাড়ি। লালের চাইতে সাদায় ওকে এত বেশি মানাবে, কে জানতো!

ইকরা, নিসা আর নেহার সাজগোজ শেষ। ওরা তরীকে দেখে আনন্দে চোখ বড় বড় করে দেখছে। ইকরা তো বলেই বসলো,
"ভাবী! তোমাকে দেখে তো ভাইয়া মাথা ঘুরে পড়ে যাবে! একদম আকাশ থেকে নেমে আসা পরী মনে হচ্ছে!"
নিসা দুলে দুলে হেসে বলল,
"ভাবীর আর সিম্পল সাজ দেয়া হলো না!"
পার্লারের মেয়েটা বলল,
"আপনাদের ভাবী বোধহয় খুশি হননি। তার কাছে তো ভালো লাগে নি!"
তরী বিরক্ত হয়ে বলল,
"কি করে লাগবে? আমি কি বলেছি এত গর্জিয়াসভাবে সাজাতে?"
নেহা বলল,
"তাতে কি হয়েছে ভাবী? বিয়ের দিন তো একটু সাজা লাগেই!"
"আমার যায়গায় তো তোমরা কেউ নেই, তাই বুঝবে না। সেন্টাকে সবাই আমাকে দেখে বলবে, আমার মনে নতুন করে রঙ লেগেছে! জামাই মরে গেছে তো কি? নাচতে নাচতে নতুন করে আবার বিয়ে বসেছে দেখো"

নিসা বলল,
"তুমি কি চাচ্ছো ভাবী? সাজ তুলে ফেলতে?"
"প্রয়োজন নেই। যা হয়েছে, চলবে। তন্দ্রা আবার কখন কান্নাকাটি শুরু করে দিবে, বাসায় চলো"
পার্লারের অন্যান্য মেয়েরাও মুগ্ধ চোখে তরী চোখে দেখছে। তরী সেসব মাথা থেকে সরানোর চিন্তা করছিল। এরা যদি জানত যে তরী দুই বাচ্চার মা, তাহলেও কি ওদের রিএকশন এমন হতো? কে জানে, মানুষের চোখ সবসময় সুন্দরের প্রতি আকর্ষিত হয়, তাই তারা তাকিয়ে আছে। কেন যে আল্লাহ ওকে সুন্দর করে বানালো!

তরী গাড়িতে ওঠার পর নিসা ফোন বের করে ছবি তুলতে বলল,
"ভাবী, তোমার গয়নাগাটি সব কিন্তু ভাইয়া পছন্দ করে কিনেছে। আমাদেরকে পছন্দ করতে দেয় নি"
তরী কোনো জবাব দিল না, কেবল ওদের সাথে ছবি তুললো। একটু পরে আচমকা লাফিয়ে উঠল।
"এই নিসা, তুমি কিন্তু ছবি তোমার ভাইয়াকে পাঠাবা না!"
নিসা অবাক হয়ে ওর দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকালো। নিসা ড্রাইভারের পাশের সিটে বসেছিল।
"তোমার ছবি এখন কেন ভাইয়াকে দিব? সে তো সামনাসামনি দেখবে!"
তরী শান্ত হয়ে বসলো। ওর যে পুরোনো স্মৃতি তাড়া করে বেড়াচ্ছে। ঠিক এভাবে খেয়ার সাথে বিয়ের দিন পার্লার থেকে ফেরার সময় চেঁচিয়ে উঠেছিল, যদিও জানতো না যে ইমরানকে খেয়া ঠিকই ছবি পাঠিয়েছে বোনের বারণ সত্ত্বেও। আজও কি নিসা এমন করবে? ওর মনে পড়ছে, ইমরান বলেছিল, আমার আবার বিয়ে করতে ইচ্ছা করছে! তরী কপট রাগ দেখিয়ে বলেছিল, কেন? নতুন কাউকে মনে ধরেছে নাকি? ইমরান হেসে বলেছিল, নাহ, পুরান পাখিকেই নতুন করে সাজিয়ে দেখব!

আজ তো তরী নতুন করে সেজেছে, নতুন করে সে বধূ বেশে নিজেকে রাঙিয়েছে, কিন্তু সেটা ইমরানের জন্য, অন্য আরেকজনের জন্য, তাও আবার ইমরানের ভাইয়ের জন্য। জীবনের এমন মোড়ও আসবে, কে জানত? তরীর বুকের ভেতরটা ফেটে যাচ্ছে কষ্টে। হাতের টিসু নিয়ে মুখ চেপে ডুকরে কেঁদে উঠল। দুপুরের রোদ সরাসরি ওর মুখে পড়ে অশ্রুকণা গুলো মুক্তার মত দেখাচ্ছে। তরীর কান্না শুনে ওর তিন ননদ ওর দিকে ঘুরে তাকালো। তরীর মত ওদের মুখও বিষন্নতায় ছেয়ে গেল। ইমরান চলে গেছে, কিন্তু ইমরানের স্মৃতি এই উৎসবের মহলে কম বেশি সবাইকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে। তরী কেঁদেই যাচ্ছে, ধীরে ধীরে ওর কান্না আর্তনাদে রূপান্তরিত হলো। ওর পাশে বসা ইকরা ওর কাঁধ চেপে শান্ত করার চেষ্টা করছে। নিসা বলল,
"ভাবীকে কাঁদতে দে, ভাবীর কাঁদা উচিত, মন হালকা হবে। নাহলে পুরো অনুষ্ঠানে উনার আরও খারাপ লাগবে। আল্লাহ যেন আর কাউকে ভাবীর যায়গায় না নিয়ে যায়। কি কঠিন পরীক্ষা!"

ওরা সবাই সরাসরি চাইনিজে চলে গেল। তরীকে সরাসরি স্টেজে না নিয়ে পেছনের দিকে একটা পর্দা দেয়া যায়গায় নিয়ে বসালো। খেয়াও ওদিকে ছিল, বোনকে দেখে বোনকে ধরে নিয়ে বসলো। তরীর বাসার সবাই এখানে তরীর সাথে থাকলো। কিছুক্ষণ পর হুজুর এসে তরীকে আলহামদুলিল্লাহ বলতে বলল। তরী চোখ তুলে তখন ওর বাচ্চাদের খুঁজছে, ওদের কোথাও দেখতে পাচ্ছে না। বাচ্চাদের দেখলে হয়ত ও সহজে আলহামদুলিল্লাহ বলতে পারবে৷ ওদের জন্যই তো বিয়েটা করা!

অনেক কষ্টে যখন তরী আলহামদুলিল্লাহ বললো, তখন পাঁচ মিনিট পেরিয়ে গেছে। কেউ একজন এর মাঝে জিসানকে বলেছে, তরী তো কবুল বলছেই না! তোকে বিয়ে করতে চায় না বোধহয়। জিসান এ কথা শুনে ঘেমে গোসল করে ফেলেছে। ওর শার্টের কলার ভিজে গেছে। এর দুই মিনিটের মাথায় যখন শুনলো, তরী কবুল বলেছে, তখন যেন ওর ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়লো!

বিয়ে পড়ানো শেষে ওদের তরীকে স্টেজে ওঠানো হলো। তরী জিসানের পাশ গিয়ে আড়ষ্ট ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকলো, একবারও ঘুরে তাকালো না। জিসান আজ ক্লিনশেভ করে এসেছে, মাথার বাম পাশে সিঁথি করে হালকা স্পাইক করা চুল। তরীর সাথে ম্যাচ করে সাদা শার্ট আর গ্রে রঙের স্যুট প্যান্ট পরেছে। তাকাবে না তাকাবে না করেও তরীর দিকে তাকিয়ে ফেলল, এরপর আর সে চোখ ফেরাতে পারছে না। এটা কি তরী? নাকি ওর স্বপ্নের পরী? যেমন ভেবেছিল, তরীকে তার চাইতেও বেশি সুন্দরী লাগছে, ঠিক স্বপ্নে যেমন দেখত। জিসানের দৃষ্টি যখন তরীর দিকে আটকে গেল, তখন ফটোগ্রাফার অনেকগুলো ছবি তুলে ফেলল। আর যখন তরী মিষ্টি হাসি দিল সামনের দিকে চেয়ে, জিসানের মনে হলো ওর হার্ট বিট করে ভুলে গেছে। এমন ভয়াবহ দমবন্ধ হওয়া বুকে আলোড়ন তোলা অনুভূতির নাম কি?

এরপর যতবার জিসান তরীর দিকে তাকিয়েছে, ঠিক ততবার ওর হার্ট একটা করে বিট মিস করে গেছে। বিয়ের অনুষ্ঠানে অনেকেই জিসানের প্রথম বিয়ে এবং তরীর দ্বিতীয় বিয়ে আলোচনা করছে। সেসব শোনার সময় কি আর ওদের আছে? তরী কেবল অতীতে ছুটে বেড়াচ্ছে, আর জিসান তরীতে।

সব রকম আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে যখন ওরা বাসায় পৌঁছালো, তখন তন্দ্রা তারস্বরে কান্না জুড়ে দিয়েছে। তরী তন্দ্রাকে নিয়ে একটা ঘরে ঢুকে খাওয়াচ্ছে। তন্দ্রার ক্ষুধা লেগেছে, ঘুমও পেয়েছে। তরী অনেক কষ্টে তন্দ্রাকে শান্ত করল। কিছুক্ষণ পর ইশতি এসে বলল,
"আম্মু, তোমার বিয়ের পোলাও আর রোস্ট অনেক মজা ছিল! তুমি আমাকে আগের বিয়ের দাওয়াত এ কেন নাও নাই? এজন্য এইবার আমি দাওয়াত খাইছি। বড় হলে আমিও বিয়ে করব। তারপর তোমাকে দাওয়াত দিব। ঠিক আছে? তন্দা বেবীকেও দাওয়াত দিব। ও তো কত ছোট, কিচ্ছু খাইতে পারে নাই!"

তরী ছেলেকে কি বলবে বুঝতে পারলো না। মনে মনে বলল, দুনিয়ায় তুইই প্রথম বাচ্চা যে এমন নেচে নেচে বাপ মার বিয়ে খেয়েছে! জীবনটা একটা সার্কাস হয়ে গেল আমার।

সবাই মোটামুটি খাওয়া দাওয়া শেষ করে তরীকে ওদের বাসর ঘরে দিয়ে আসলো। এত সুন্দর ফুলে ফুলে সাজানো ঘর থেকে ইশতিকে সেখান থেকে কিছুতেই বের করা যাচ্ছিল না। একে তো সে মায়ের সাথে ঘুমাবে, তার উপর এত সুন্দর ঘর ছাড়া অন্য কোনো ঘরেই সে যাবে না। কান্নাকাটি করে একেবারে সবার কানের পর্দা নাড়িয়ে দিয়েছে সে। শেষ পর্যন্ত নিসা আর নেহা বুঝিয়েছে, ওর আম্মুর কাছে থাকলে আম্মু মারবে। অন্য রুমে থাকলে আজ অনেক গল্প শুনতে পারবে, মজা হবে। তারপরও ওকে কিছু ফুল খুলে দিয়ে শান্ত করতে হয়েছে। তন্দ্রা তো আগেই ঘুমিয়েছে, তাই ওকে নিয়ে তেমন চিন্তা নেই।

একটা বিশাল ঝামেলাময় দিন শেষে তরী বিছানায় ধপ করে বসলো। মন চাচ্ছে সব সাজ খুলে ফেলতে। সাত বছর আগে কিভাবে এসব কাপড় পরে এতক্ষণ থাকতে পেরেছে? ওর আগের বিয়ের শাড়ি অনেক ভারী ছিল। অথচ মনে হচ্ছে, এই শাড়ি কখন ও খুলবে। অস্থিরতায় যখন ভেঙে পড়বে, তখনই জিসান ঘরে প্রবেশ করে রিমোট দিয়ে এসি চালু করতে করতে বলল,
"কি আশ্চর্য! ক'বার বললাম এসি চালু করে ঘর ঠান্ডা করে রাখতে। এরা কি কানে শোনে না? নাকি কোনো কথা মগজে ঢোকে না?"

এসি ছেড়ে তরীর পাশে বিছানায় বসলো ও। তরী আবারও আড়ষ্ট ভঙ্গিতে বসে আছে, অস্বস্তি হচ্ছে ওর নিকটবর্তী ভবিষ্যতের কথা ভেবে। জিসানের কথা কানে আসলো,
"খারাপ লাগছে তোমার?"
তরী দুদিকে মাথা দুলিয়ে মানা করল। জিসানের কাছে নিজের খারাপ লাগা স্বীকার করতে ইচ্ছা করছে না। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে বলল,
"আজ রাতে আপনি কি এখানেই ঘুমাবেন?"
"তাহলে কোথায় ঘুমাবো বলে তুমি চাও?"

তরী সারাদিনে এই প্রথম জিসানের দিকে তাকালো। জিসানকে অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে। তরীর ওর চোখে হারাতে ইচ্ছা হচ্ছে, পরক্ষণেই ওর মনে কেমন একটা পাপবোধ হলো সাথে সাথে, কেন জিসানকে ওর ভালো লাগবে? না, এসব লাগা যাবে না। এই অনুভূতি গুলো ইমরানের, আর কারো না। জিসান আবার প্রশ্ন করল,
"আমি কোথায় ঘুমালে ভালো হয়? ফ্লোরে? নাকি অন্য কোনো ঘরে?"

তরী অপ্রস্তুত হয়ে গেল।
"না, এরকম কিছু বলিনি। আসলে রুম শেয়ার করতে অস্বস্তি হচ্ছে"
"শুধু রুম না, এখন থেকে আমরা বেডও শেয়ার করব, এমনকি আমাদের লাইফ শেয়ার করে যাবো!"
তরীর কান গরম হয়ে যাচ্ছে। জিসান কিভাবে যেন ওর দিকে চেয়ে আছে। তরীও কোনো কথা না বলে কোলের উপর হাত মুঠ করে নিয়ে হাতের দিকে চেয়ে আছে।

সময় কেটে যাচ্ছে। জিসান সামনের কাউচে হেলান দিয়ে ঠিক একভাবে ওর দিকে তাকিয়ে আছে, যেন তরী এক ভীষণ রকম দর্শনীয় বস্তু। তরী অস্বস্তিতে আর না পেরে বলল,
"আপনি কি এভাবেই আমার দিকে চেয়ে থাকবেন?"
"কেন? চেয়ে থাকলে কি সমস্যা?"
"আমার অস্বস্তি হচ্ছে"
জিসান কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আবার ওর পাশে এসে বসল। পকেট থেকে একটা বাক্স বের করে সেটা থেকে একটা আংটি বের করে তরীর হাতে পরিয়ে দিল।
"তোমার বাসর রাতের উপহার"
"এটা কি হোয়াইট গোল্ড?"
"না, হীরা আর প্লাটিনামের"

তরী চমকে উঠল।
"এত দামী আংটি আমাকে দিয়েছেন আপনি!"
"বিয়ে তো তোমাকেই করলাম, আর কাকে দিব?"
জিসানের ঠোঁটে কৌতুকপূর্ণ হাসি। তরী বারবার আংটি দেখছে। ইমরান ওকে বাসর ঘরে এসে অবশ্য তেমন কিছু দেয়নি, তরীও কখনো এসব ভাবেনি। উফ, আবারও ইমরান? ইমরানকে কেন বারবার মনে পড়ছে ওর?

জিসান তরীর টোল পড়া গাল আলতোভাবে ছুঁয়ে দিল, তাতে ও রীতিমতো চমকে উঠে সরে গেল। তরীর এমন আচমকা চমকে ওঠাতে জিসান ঘাবড়ে গেল।
"সরি, সরি! ভয় পেয়েছ তুমি?"
এবার তরীর মুখে রক্ত সরে গেছে।
"আমি বলেছিলাম, আপনার সাথে আমার সহজ হতে সময় লাগবে একটু!"
"ওকে, কিন্তু আমি তো কিছুই করলাম না! যাইহোক, সরি! আসলে কি বলব..."
জিসান আমতা আমতা করে বলল,
"তোমার টোল পড়া গাল আমার খুব ভালো লাগে। তাই একটু ছুঁয়ে দেখার লোভ সামলাতে পারিনি। সরি"

তরী কোনো জবাব দিল না। জিসান উঠে দাঁড়ালো।
"একটু অপেক্ষা করো, আমি আসছি। আর একটা অনুরোধ রাখবে?"
তরী প্রশ্নপূর্ণ দৃষ্টিতে তাকালো।
"শাড়ি বা মেকাপ কিছু বদলিও না। আজ রাত আমি তোমাকে এভাবে দেখব। এটুকুই আপাতত আজ রাতে আমার চাহিদা। প্লিজ?"

তরী কিছু বলল না। ওর খুব বলতে ইচ্ছা করছিল, এইসব কাপড় পরে কতক্ষণ থাকা যায়? ও কি আজ ফ্রেশ হওয়ার সুযোগও পাবে না? পরক্ষণে মনে হয়েছে, জিসান যদি স্বামীর অধিকার চেয়ে বসে? ওটা তো আরও বড় টর্চার হবে। এরচেয়ে মেনে নেয়াই ভালো।

চলবে...

Bạn đang đọc truyện trên: Truyen2U.Pro