Màu nền
Font chữ
Font size
Chiều cao dòng


টিলি বুঝে উঠতে পারছে না, এই ঘটনাটা নিয়ে কি।ভাববে? যত্নের সাথে সে পেপার কাটিংটা নিজের কাছে রাখলো। আচ্ছা, এমন কি হতে পারে না যে পুরো বিষয়টা কাকতালীয়? আসলে এমন কিছু ও দেখেছে, কিন্তু কাকতালীয়ভাবে দেশের অন্য প্রান্তে এমন একটা ঘটনা ঘটে গেছে। হতে পারে না? হতেও তো পারে! টিলি দ্বিধাদ্বন্দ্ব নিয়ে পুরাতন পেপার হাতে বসে আছে। সে বেমালুম ভুলে গেছে এতক্ষণ কি করছিল।

"কি রে? এভাবে বসে আছিস কেন? আলমারিটা গুছাবি না? আমি হেল্প করবো?"

লিলির কন্ঠে টিলির ধ্যান ভাঙে৷ ঘাড় ঘুরিয়ে বড় বোনের দিকে চেয়ে স্নিগ্ধ হাসলো। যেহেতু সামনে বিয়ে, তাই তাকে দিয়ে কোনো ভারী বিশেষত রোদ আর চুলোর কাজ করানো হচ্ছে না। পাছে ভয় হয়, বিয়ের কনের যদি নির্মল রূপে কোনো দাগ পড়ে যায়? তবুও লিলি কিছু না কিছু করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। কোথাও সুবিধা না কর‍তে পেরে টিলির কাছে এসেছে। টিলি হাসিমুখে বোনকে বসার ইশারা করলো। আলমারির স্তুপকৃত কাপড়, জিনিস পত্র ঠিক করতে করতে লিলি প্রশ্ন করলো,
"আজকাল তোর সাথে কথাই বলা হয় না। আমি যে এনজিওতে এখন আছি, সেখানে চাইলে তুইও এক সময় জয়েন করতে পারবি। খুবই ইন্টারেস্টিং কাজ। প্রত্যেকটা মেয়ের নিজের একটা নিজস্ব পরিচয় থাকা উচিত। এই পরিচয় মেয়েটাকে সব অবস্থায় শক্তি দেয়!"

টিলি হেসে বোনের হাতে কিছু কাপড় গুছিয়ে দিয়ে বলল,
"তুমি এখনো আগের মতো গুছিয়ে গুছিয়ে কথা বলো!"
লিলি বোনের মাথায় হাত বুলিয়ে বলল,
"আর তুই এখনো আগের মতো সব কথা নিজের মাঝে রেখে দিস! তোর মনে কখন কি চলে আমরা কেউ কখনো টের পাই না! এত আলাদা হলি কেন তুই?"

টিলির মুখের হাসিটুকু বিস্তৃত হলো।
"জানতে চাও আমার মনে কি চলে?"
লিলি বেশ আগ্রহ নিয়ে বোনের হাত ধরে বিছানার এক পাশে বসালো।
"হুম, চাই তো! বল আমাকে। ক'দিন বিয়ে করে অন্য ঘরে চলে যাবো। তখন কি এত কথার সুযোগ হবে? কখনোই না। বিয়ের আগের সময়টা আমরা অনেক গল্প করে কাটাবো। তোর সাথে সেভাবে গল্পই করা হয়নি আমার কখনো। কেমন যেন শামুকের মতো নিজেকে একটা খোলসের ভেতর লুকিয়ে রাখিস!"

টিলি হেসে বিছানার উপর পা তুলে আসন গেঁড়ে বসলো।
"ঠিক আছে, বলবো। আচ্ছা আপু, তুমি কি বিশ্বাস করো? পৃথিবীতে কাকতালীয় বলে কোনো ঘটনা আছে? নাকি সব ঘটনার পেছনেই একটা ব্যাখ্যা আছে?"

লিলির কপাল কুঁচকে গিয়েছে।
"এটা কেমন প্রশ্ন হলো? আগামাথা কিছুই তো বুঝলাম না। আগের মত প্যাচানো স্বভাব এখনো গেল না! খোলাসা করে বল"
"ধরো, একজনের কথা ভাবছো। ঠিক সেই সময় মানুষটা হাজির হলো। আমরা তখন বলি না, শয়তানের নাম নিলেই হাজির হয়? অথবা, মাত্রই তোমাকে নিয়ে ভাবছিলাম, অনেক বছর বাঁচবা। আসলে এগুলো কি কাকতালীয় ঘটনা? নাকি এসবের কোনো ব্যাখ্যা আছে?"

লিলি কিছুক্ষণ বোনের মুখের দিকে চেয়ে থাকলো। তারপর পিঠ সোজা করে কিছুটা থম মেরে বসলো।
"এগুলা তো স্রেফ কাকতালীয় ব্যাপার! আমরা যেসব বলি, সেসব তো মজা করে বলি"
"হুম। কিন্তু এমন কি হতে পারে না যে, আসলে টেলিপ্যাথি জাতীয় কোনো একটা যোগাযোগ আছে এদের দুজনের মধ্যে? এই কারণে একজন যখন ভাবতে শুরু করে, অন্যজন তখন হাজির হয়? কিংবা এখন হাজির হচ্ছে বলেই অন্যের ভাবনায় তার চিন্তা আসে?"
"এরকম কিছু এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা এমন কিছু আবিষ্কার করতে পারেনি"
"তাহলে সন্তানের কিছু হলে মা বুঝে কি করে? তার এমন অস্থির লাগে কেন? অথবা মানুষ স্বপ্ন দেখে কেন ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় দিয়ে অনেক কিছু আঁচ করে? আমার কি মনে হয় জানো? স্বপ্নের সাথেও মানুষের টেলিপ্যাথি কানেকশন আছে। নাহলে মানুষ স্বপ্নে বিভিন্ন ইশারা পেতো না"
"হতে পারে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এগুলো কোনো প্রমাণিত কোনো থিওরি না। জাস্ট সাম হাইপোথিসিস!"
"হয়ত। কিন্তু সত্যতা তো আছেই!"

লিলি আঙুল মটকে একটু সতর্ক হয়ে বলল,
"এই! তোর আমাকে তোর মনে কি চলে, মানে ভবিষ্যত পরিকল্পনা বলার কথা। এসব উদ্ভট প্রশ্ন কেন করছিস? মনে কি এসব অদ্ভুত কথা নিয়ে ঘুরিস?"
"আসলে মাত্র এসব ভাবছিলাম"
"তুই ছোট থেকেই স্বপ্ন,প্যারানরমাল ঘটনা, এসব নিয়ে আগ্রহ দেখাস। একা একা থেকে থেকে তোর মাথায় এসব আসে। সবার সাথে মিশলে এসব ভাবতি না"
"ঠিক আছে, তাহলে একটা ঘটনা ব্যাখ্যা করো"

টিলি এক পাশে সরিয়ে রাখা পেপার কাটিং বের করলো। তারপর বলল,
" এই যে ছোট মেয়েটাকে খুনের ঘটনাটা দেখছো, এটার তারিখ দেখো। আমার জন্মদিনের পরের দিন। সালটা দেখো। আজ থেকে ১২ বছর আগের। মজার ব্যাপার কি জানো? ঐদিন আমি নিজে এই স্বপ্ন দেখেছিলাম। ঘুম ভেঙে আমার গলাতেও দাগ পেয়েছি। এই যে লোকটার ছবি, আমি স্পষ্ট একে মনে করতে পারি, এখনো! এখন আমাকে জবাব দাও। এটা কি? কাকতালীয় ঘটনা? নাকি টেলিপ্যাথি জাতীয় কোনো কানেকশন?"

লিলি বেশ অবাক হয়ে চেয়ে থাকলো। খানিকবাদে সন্দেহের কন্ঠে প্রশ্ন করলো,
"মজা করছিস আমার সাথে?"
"মোটেও না। কসম খেতে পারবো আমি যদি বিশ্বাস না করো"
লিলি অবিশ্বাস নিয়ে বোনের দিকে তাকিয়ে থেকে বলল,
"এই মেয়েকে কি তুই চিনিস?"
"লালমনিরহাটের এই মেয়েকে আমি কি করে চিনব?! তখন আমি মাত্র ক্লাস সিক্সে পড়ি!"
"তাহলে?"
"আমিও সেটাই জানতে চাচ্ছি। তাহলে?"
"তুই কি এরকম আরও দেখেছিস?"
"হুম। অনেক। সবগুলো মনে নেই"
লিলি একটু ভয় পাওয়া নিচু কন্ঠে বলল,
"তুই কি দুয়া পড়ে ঘুমাস না?"

টিলি ভ্রু নাচিয়ে প্রশ্ন করলো,
"দুয়া পড়ে ঘুমানোর সাথে এসবের কি সম্পর্ক?"
লিলি বোনের কাঁধে হাত রাখলো,
"তুই এসব নিয়ে এত ভাবিস না। আর দুয়া পড়ে সবসময় ঘুমাবি। আসলে কি জানিস, আমিও আগে জানতাম না। মেয়েদের অনেক রকম দুষ্ট জ্বীন যন্ত্রণা দেয়। এরকম কিছু একটা হলেও হতে পারে। আবার নাও হতে পারে! মানে বললাম আর কি! তুই কিন্তু একদম এসব নিয়ে মাথা ঘামাবি না। ফেলে দে এই কাগজ"

টিলি হেসে ফেলল।
"জ্বীন? তুমি এসব বিশ্বাস করো?!"
"বিশ্বাস না করার কি আছে? এরা তো আছেই! আছে না? আছে তো! যাই হোক, এরকম কিছুই না আমি নিশ্চিত। এটা কাকতালীয় কিছুই হবে!"

লিলি দ্রুত উঠে প্রস্থান করতে উদ্যত হয়। দরজা খুলে পেছন ফিরে বোনকে বলল,
"এসব কিন্তু আম্মু আব্বু বা অন্য কাউকে বলতে যাস না। সবাই ইজিলি নিবে না।"
"কেন? আমাকে পাগল ভাববে? তারপর ধরে একটা পাগলা কবিরাজের কাছে নিয়ে যাবে? সে আমাকে ওঝা হয়ে ঝাড়াবে?"
টিলির মুখে দুষ্ট বিদ্রুপের হাসি। লিলি সিরিয়াস মুখভঙ্গি করে চেয়ে আছে। তার মুখশ্রীতে ঠাট্টার লেশমাত্র নেই। সেই ঠান্ডা কন্ঠে বলে গেল,
"যেটা বলেছি সেটা শুনিস। এমনিতেই সবাই তোকে নিয়ে একটু আধটু সন্দেহ করে। তাদের কথা সত্য প্রমাণ করার জন্য এসব বলার দরকার নেই!"

লিলি ঘর ছাড়তে চাইলে টিলি দৌড়ে বোনের হাত ধরে টানলো।
"সন্দেহ করে মানে কি? সবাই কি আমাকে পাগল ভাবে?"

লিলির মুখ থেকে একটা, গোপন সত্য বেরিয়ে গেছে। ওর পরিবারের সবাই টিলির সাথে স্বাভাবিক ব্যবহার এর চেষ্টা করলেও টিলি যে সবার থেকে আলাদা, এই বিষয়টা অনেকেই লক্ষ্য করে। তাই তো ওদের এক ফুফু মাঝে মাঝে রাশেদার কাছে টিলির জন্য তাবিজ দিয়ে যায়, পানিপড়া দিতে বলে। টিলি যেমন তেমন কারো মেশে না, তার ছেলেদের দিকেও আগ্রহ নেই। আজকাল ছোট ছোট মেয়েরাও প্রেম করে বেড়ায়। অথচ টিলি ছেলে দূরে থাক, মেয়েদের সাথেও তেমন মেশে না। টিলি অনেকটা ওর নানুর মতো হয়েছে। রাশেদার মা ভদ্র সম্ভ্রান্ত পরিবারের হলেও ভীষণ আলাদা রকমের ছিলেন। টিলি তার মতো হওয়ায় স্বভাবতই অনেকে চিন্তিত। এই প্রথম লিলির মুখ থেকে এই কথাটা বেরিয়ে যাওয়ায় লিলি মনে মনে হাজার বার নিজেকে অভিশাপ দিল। কোনোমতে সামলে বলল,
"পাগল ভাববে কেন? কারো সাথে মিশিশ না বলে একটু চিন্তায় থাকে আর কি। ইউ নো, মানুষ ইউনিকনেসকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না!"

লিলি দ্রুত সেখান থেকে সরে পড়লো। টিলি আনমনে বোনের গমন পথের দিকে চেয়ে চেয়ে ভাবে, পরিবারের সাথে যে সে সব কিছু শেয়ার করে না, এটা বরং একদিক থেকে ভালো হয়েছে। নাহলে এতদিনে ওর কপালে পাগল, জ্বীনে আছড় করা- এমন সব বিদঘুটে শিরোনাম লেপ্টে যেতো। টিলি হাতের পেপার কাটিং এর দিকে তাকালো। ওকে অবশ্যই জানতে হবে, কেন ওর দেখা স্বপ্ন গুলো বাস্তব হচ্ছে। আসলে সমস্যাটা কোথায়? নাকি এটাই স্বাভাবিক?

টিলিকে জানতে হবে। জানতেই হবে।

ভাবনার মাঝে কিছুদিন পেরিয়ে গেছে। আজ টিলি ক্যান্টিন থেকে খাবার এনে ক্লাসে আসার সময় এক বান্ধবীর সাথে কথা বলছিল। নিজের সিটে বসতে খেয়াল করলো, সানজিদা নামের একটা মেয়ে কয়েকজনকে নিয়ে বসে বসে জ্বীন সংক্রান্ত আলোচনা করছে। টিলির বান্ধবী পাশে বসে কি বলছে, সেদিকে মনোযোগ না দিয়ে ওর মনোযোগ পড়ে আছে সানজিদার টপিকে। ব্রেক না এখন, বরং এই পিরিয়ডটা হবে না। টিলি চুপচাপ অপেক্ষা করছে কখন ঐ মেয়েগুলো সানজিদার কাছ থেকে সরবে। কিন্তু লক্ষণ দেখে মনে হচ্ছে, ওরা কেউ সরবে না। সানজিদা একাই ওদের জ্বীন সংক্রান্ত নানান তথ্য উপাত্ত দিচ্ছে। মেয়েটার ভাব দেখে মনে হচ্ছে, জ্বীন জগতে ঢুঁ মেরে আসা ঝানু লোক সে। অনেক কিছু জানে!

সত্যি সত্যিই পুরো সময়ে টিলি সানজিদার কথা বলার কোনো সুযোগ পেলো না। অগত্যা অপেক্ষা করতে থাকলো ছুটির সময়ের জন্য। ছুটি হতেই টিলি সানজিদার কাছে গিয়ে দাঁড়ালো।
"তোমার সময় হবে? একটু কথা ছিল"
সানজিদার সাথে আগে ওর টুকটাক কথা হয়েছে। মেয়েটা বেশ ধার্মিক গোছের। সবার সাথেই সে হাসিমুখে কথা বলে। টিলির কথায় দাঁড়িয়ে বলল,
"হুম, বলো?"
টিলি এদিক ওদিক চেয়ে বললো,
"একটু আলাদা কথা বলবো"

সানজিদা কৌতুহল নিয়ে ওর সাথে ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসলো। গার্লস কলেজ বলে এখানে স্টাফ আর কিছু শিক্ষক ছাড়া কোনো পুরুষের অস্তিত্ব নেই। তবুও টিলিকে এদিক ওদিক তাকাতে দেখে সানজিদা উশখুশ করে উঠলো।
"টিলি? কোনো সমস্যা?"
"চলো, আমরা মাঠে হাঁটতে হাঁটতে কথা বলি"

মাঠে হাঁটতে হাঁটতে টিলি মনে মনে কথা গোছাচ্ছে। সানজিদা ধৈর্য্য ধরে অপেক্ষা করছে টিলি নিজ থেকে কথা শুরু করবে বলে। ও ঠিক ঠাহর করতে পারছে না, ক্লাসের সবচেয়ে চুপচাপ মেয়েটা ওকে ঠিক কি বলতে চায়। টিলি খানিক অপেক্ষা করে শুধালো,
"তুমি জ্বীন-ভূত নিয়ে এতকিছু কি করে জানো?"
"আমি পড়াশোনা করি এসব নিয়ে। আর আমার ছোট ভাই মাদ্রাসায় পড়ে। ও অনেক কিছু জানে এইসব নিয়ে"
"আচ্ছা, কাউকে জ্বীন আছড় করলে তার মাঝে কি কি সমস্যা হয়?"
"অনেক রকমই হয়। যেমন সে অদ্ভুত সব শব্দ শুনতে পায়, দেখতে পায়, স্লিপিং প্যারালাইসিস হয়- যেটাকে আমরা বলি বোবায় ধরা। তারপর নানা রকম পশুপাখি, আগুন, এ ধরনের স্বপ্ন দেখে। অনেকেই তখন আল্লাহর ইবাদত থেকে সরে যায়, নামাজ কালাম পড়তে পারে না। এমনও হয় কুরআন শুনতে পারে না, মানে সহ্য হয় না। অনেকে অসুস্থ হয়ে যায়। অদ্ভুত সব রোগ হয় যেগুলো দীর্ঘ চিকিৎসাতেও খুব একটা ভালো হয় না। হঠাৎ এই প্রশ্ন?"

টিলি একটু ভেবে প্রশ্ন করলো,
"জ্বীন ধরলে কি কখনো সত্যি সত্যি স্বপ্ন দেখে? মানে আমি স্বপ্ন দেখছি, কিন্তু আসলে স্বপ্নটা বাস্তব হচ্ছে? আমি স্বপ্নের মধ্য দিয়ে আরেকটা যায়গায় চলে যাচ্ছি? এমন?"
"এমন কিছু তো কখনো শুনি নি। তবে স্বপ্নের ব্যাখ্যা আছে। স্বপ্ন কখনো আমাদের দৈনন্দিন কাজ, চিন্তা থেকে আসো; কখনো আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে, কখনো শয়তানের পক্ষ থেকেও আসে"
"আমি কি করে বুঝবো কোনটা কি কারণে আসছে?"
"আল্লাহর পক্ষ থেকে সাধারণত দৈব বাণী বা ভবিষ্যৎ বানী জাতীয় স্বপ্ন গুলো আসে। যেমন অনেকে বিপদের আঁচ পায় বা সমাধান পায়, সাবধান বানী পায়। শয়তানের পক্ষ থেকে বেশিরভাগ স্বপ্ন থেকে ভয় দেখানোর জন্য, দুর্বল করার জন্য। তবে যদি ফজরের সময় বা তার ঠিক আগে কেউ স্বপ্ন দেখে, সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকেই আসে। সেগুলো সত্যি হয়ে যায়"
"তার মানে আল্লাহ স্বপ্নের মাধ্যমে আমাদের ইশারা দেন? কথা বলেন?"
"অনেকটা তাই"
"কিন্তু... "
"কিন্তু কি?"
টিলি এড়িয়ে যায়।
"কিছু না। হতে পারে। আচ্ছা, যাই হোক, আমি তোমার সাথে অন্য এক সময় আবার কথা বলবো। আজ অনেক সময় নিয়ে নিলাম। ভালো থেকো"

টিলি দ্রুত সানজিদার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলো। সানজিদা অবাক।হয়ে চেয়ে রইলো। মেয়েটা কিছু একটা বলতে গিয়েও বললো না। কি বলতে চাইছিল ও?

বাসায় ফিরে টিলি ফ্রেশ হয়ে ঘুম দিল। ঘুমের মাঝে খুব অদ্ভুত কিছু অনুভূতি হচ্ছে। এই অনুভূতি প্রকাশ করার মতো না। মনে হচ্ছে  যেন ও অন্ধকারে হাতড়ে যাচ্ছে। এই অন্ধকারের শেষ কোথায়? তারপর চোখ খুব  ফেলল। এই তো ঘর ভরা আলো। কিন্তু আসলেই কি ও আলোর মাঝে আছে? ওকে আসলে আল্লাহ কি ইশারা দিতে চাচ্ছেন? ওর মনে পড়ে যায়, ওর স্বপ্ন গুলো সব ভোরের স্বপ্নই ছিল। উঠে বসে ফোন হাতে নিল। সানজিদার নাম্বারে মেসেজ টাইপ করলো-

"আমার মনে হয় আল্লাহ আমাকে কোনো ইশারা বা বার্তা পাঠাচ্ছে। আমাকে যে বার্তা পাঠাচ্ছে, সে আল্লাহ না, অন্য কিছু!"

চলবে...

Bạn đang đọc truyện trên: Truyen2U.Pro