পর্ব ৩০

Màu nền
Font chữ
Font size
Chiều cao dòng

#অপরিণত_নিকাহনামা
লেখা- #AbiarMaria

#৩০

পরীক্ষার হল থেকে বেরিয়ে প্রিয়ন্তি শায়লাকে নিয়ে ওদের ভবন থেকে বেরিয়ে একপাশে চাপিয়ে আনলো। মুখ খুলতে গিয়ে খেয়াল করল শায়লা কেঁদে দিবে দিবে অবস্থা।
"কি হলো তোর?পরীক্ষা ভাল হয়নি?"
"না! আমি জানিস ১৮ মার্ক ছেড়ে আসছি! এমসিকিউ তে কি করছি আমি জানি না!"
"মানে! প্রশ্ন তো সহজ ছিল!তোর আবার কি হল?!"
শায়লা কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল,
"জুয়েলের সাথে ঝগড়া হয়েছে সারারাত!"
"জুয়েল?জুয়েল কে?"
"আল্লাহ! তুই ভুলে গেছিস? আমার বয়ফ্রেন্ড, আমার জান!"
প্রিয়ন্তি মনে মনে গালি দেয় জুয়েলকে। এই ছেলেটা হচ্ছে দুনিয়ার বেয়াদব। সারা বছর ভালো থাকলেও পরীক্ষা কিংবা গুরুত্বপূর্ণ দিনের আগে ঝগড়া করার মুড আসে; অসভ্য ইতরের মত গার্লফ্রেন্ড এর সাথে ঝগড়া করে। প্রিয়ন্তি মনে মনে জুয়েল নামের অদেখা বিরক্তিকর চরিত্রের মুণ্ডপাত করতে করতে বলল,
"পরীক্ষার ভালো খারাপের মাঝে যে তোর পাঁজী বয়ফ্রেন্ড ঢুকে যাবে, সেটা তো আমার মনে ছিল না! তাই খেয়াল করিনি। এখন কি সমস্যা তার?"

শায়লা নাক ফুলিয়ে ফুলিয়ে সর্দি টানতে থাকে আর আগের রাতের কথাগুলো বলতে থাকে। প্রিয়ন্তি মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকে। শায়লা যখনই জুয়েলের কথা বলে, তখন ওর মনে হয় ও প্রতিবার একই গল্প শুনছে। জুয়েল আজেবাজে ব্যবহার করে, সামান্য ব্যাপার নিয়ে তুলকালাম আগুন লাগিয়ে দিবে, আর শায়লা গোবেচারির মত ফ্যাচফ্যাচ করে কেঁদে কেঁদে ক্ষমা চাইবে। যদি ওকে প্রশ্ন করা হয়, এত সমস্যা থাকলে প্রেম করিস কেন? তখন উত্তর দিবে, আমি পারি না ওকে ছাড়া থাকতে! আমি মরে যাব! প্রিয়ন্তি একবার তো রাগ করে বলেই ফেলেছিল, মরে যা না ভাই! এরকম মানুষের সাথে বাঁচার চেয়ে মরেও শান্তি পাবি! আগে প্রিয়ন্তি এসব নিয়ে আকর্ষণ অনুভব করত। আসিফের সাথে আংটি বদলের পর থেকে ও বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, প্রতিটা মেয়ের উচিত প্রেম না করে বিয়ে করে ফেলা। হয়ত দায়িত্ব বেড়ে যাবে এতে, কিন্তু অবৈধ সামাজিকভাবে অস্বীকৃত এবং ধর্ম বর্হিভূত একটা সম্পর্কের কি কোনো ভবিষ্যত আছে? চাইলেই ভেঙে যায়, চাইলেই একে অপরকে টর্চার করে অথচ বিচারের কেউ নেই, আর ধর্মের কথা বললে এতে তো অকল্যাণে পরিপূর্ণ। তবুও মানুষগুলো আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, পারে না খারাপ থেকে বেরিয়ে আসতে। এই যেমন আসিফ বিয়ে না করে আংটি বদল করেই বসে আছে। প্রিয়ন্তি নিজেও বা কোথায় পারল বৈধ প্রেম করতে? তবুও সান্ত্বনা দেয় নিজেকে, অন্তত পরিবারের মুরুব্বিরা তো আছে ওদের সাথে। আজকালকার তথাকথিত প্রেমিক প্রেমিকাদের জন্য কে আছে?

শায়লাকে প্রিয়ন্তি নিজের সমস্যা আর কি বলবে, শায়লা নিজেই পরীক্ষা আর প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে কেঁদে কেঁদে বাসায় চলে গেল। প্রিয়ন্তি নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দেয়, শায়লার সাথে পরের পরীক্ষার দিন আলোচনা করবে। এর মাঝে কোনো ঘটনা ঘটলে নিজেই সামলে নিবে।

কয়েকটা পরীক্ষা যাওয়ার পর প্রিয়ন্তির মাথা থেকে বিশালের চিন্তা চলে গেল, কারণ আজকাল তাকে দেখা যায় না। হয়ত আবার হোস্টেলে চলে গেছে, এরকমটা ভেবে প্রিয়ন্তিও শায়লার সাথে এ ব্যাপারে কথা বলেনি। বাংলা দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষার আগের দিন বিকালে আসিফ কল করে। আননোন নাম্বার দেখে প্রথমে রিসিভ করবে না ভাবলেও ফোনটা রিসিভ করে যখন আসিফের "হ্যালো" শুনলো, তখন খুশিতে ওর দম আটকে যাওয়ার একটা অসহ্য অনুভূতি হলো বুকের ভেতর।
"তুমি! কেমন আছ!"
"ভাল আছি। তুমি কেমন আছ?"
"এখন ভাল আছি"
"আগে ভাল ছিলে না?"
"না!"
ওপাশ থেকে আসিফের হাসি শুনতে পায় প্রিয়ন্তি। মনে হচ্ছে কত জনম পরে আসিফকে হাসতে শুনছে ও! ইচ্ছে করছে শরীরের সমস্ত শক্তি প্রয়োগ করে আসিফের বুকে ছুটে যেতে। অথচ ওর কন্ঠ শোনাটাই এখন প্রিয়ন্তির জন্য সৌভাগ্যের ব্যাপার। খানিকটা অভিমান কন্ঠে জড়িয়ে জিজ্ঞাসা করল,
"কবে আসবে?"
"এখনো জানি না। কয়েক মাসের আগে পারব না বোধহয়"
"ট্রেনিং কেমন চলছে?"
"ভয়াবহ"
"মিস করো?"
"অনেক"
"কখন"
"যখন দৌড়াদৌড়ি আর ঘুম বাদে একটু বসি। বিশেষ করে ডায়রি লেখার সময়"
"তুমি ডায়রি লিখ?"
"এখানকার নিয়ম, লিখতে হয় সবাইকে। অনেকটা রিপোর্টিং এর মত"
"অহ"
"তোমার পরীক্ষা কেমন হচ্ছে?"
"ভালো"
আসিফ কিছু সময় নেয়। প্রিয়ন্তির ঘনঘন নিঃশ্বাস শুনতে পাচ্ছে। চোখ বন্ধ করে ও অনুভব করে, প্রিয়ন্তি ওর বুকে মাথা রেখে নিঃশ্বাস ফেলছে। ইশ, অনুভূতিটা যদি বাস্তব হত! আসিফ ধীর কন্ঠে বলে,
"কিছুদিন কথা না বলে মিনিট জমিয়েছি। এত অল্প সময় এরা দেয়! এই সময়ে মন ভরে না। তাই তো এত দিন পর পর কল করি। রাগ করো না প্লিজ? নিজের খেয়াল রেখো প্রিয়ু। আই মিস ইউ"
প্রিয়ন্তি কিছু বলতে পারে না। ঠোঁট জোড়া হাতে চেপে ধরে কান্নার শব্দটুকু গিলে নেয়। ও চায় না আসিফ জানুক, আসিফের অনুপস্থিতিতে ওর বুকের ভেতর কতটা শূন্যতা দিয়ে পূর্ণ হয়েছে। প্রিয়ন্তির কোনো উত্তর না পেয়ে আসিফ ফোন রেখে দেয়। ভারী বুট পরা পা জোড়া কষ্ট করে টেনে অফিস থেকে বেরিয়ে আসে। ও জানে প্রিয়ন্তি এখন কাঁদবে, খুব কাঁদবে। প্রতিবার আসিফের কন্ঠ শুনে ও কান্নায় ভেঙে পড়বে। আসিফ চোখের কোণে আসা পানিটুকু এক আঙুলে মুছে ফেলে। একজন আর্মি অফিসারের দুর্বল হওয়ার কোনো সুযোগ নেই!

ফোন রেখে টেবিলে মাথা ঠেকিয়ে প্রিয়ন্তি মন ভরে কাঁদে। কিছুক্ষণ পর নাক মুখ মুছে স্বাভাবিক হতেই ওর মা আসে ঘরে।
"ছাদ থেকে কাপড় নিয়ে আয় তো!"
"ছাদে কাপড় দিয়েছিলে?"
"তো না দিলে তোকে পাঠাচ্ছি কেন?"
"অবন্তি বা শ্রাবন্তিকে বলো না?"
"উফ ওরা ঘুমায়! তুই যা! একটু পর মাগরিবের সময় হবে। তাড়াতাড়ি কাপড় নিয়ে আয়!"

প্রিয়ন্তি মায়ের কথা মত মাথায় ভালোভাবে ওড়না পেঁচিয়ে ছাদে চলে যায়। ছাদে যাওয়ার সময় বিশালকে নিয়ে একবারও চিন্তা আসেনি কারণ ওর মাথায় এখন শুধু আসিফকে নিয়ে ভাবনা। ছাদে এসে সব গুলো কাপড় ধীরে ধীরে নিতে শুরু করে। আজকে বুয়া এসে মনে হচ্ছে বাসার যত কাপড় ছিল, সব ধুয়ে ছাদে দিয়ে গেছে। প্রিয়ন্তি দুকাঁধে কাপড় নিয়ে হাতেও কতগুলো নিয়ে সামনের দিকে তাকিয়ে দেখল বিশাল দাঁড়িয়ে আছে। প্রিয়ন্তি মনে মনে বলে,
"আউযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্বয়ানির রাযিম! এই খচ্চর শয়তান থেকে আল্লাহ আমাকে বাঁচাও!"

প্রিয়ন্তির মন যেন এই শয়তানটা পড়েই ফেলেছে, এমনভাবে সে বলতে শুরু করল,
"এখন আমার কাছ থেকে পালাতে চেষ্টা করবে নিশ্চয়ই?"
প্রিয়ন্তি জবাব না দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বিশাল ওর পথরোধ করে বলল,
"সবসময় পালাও কেন? আমি কি তোমার কোনো ক্ষতি করেছি?"
"আমার রাস্তা ছাড়ুন"
"এটা তোমার রাস্তা কখন হলো?"
"দেখুন, আপনার আজেবাজে কথা শোনার সময় কিন্তু আমার নেই"
"কিন্তু আমার তো অনেক আজেবাজে সময়! শোনো প্রিয়ন্তি, আজকে আমাকে পাচ্ছো, কাল কিন্তু আমাকে পাবে না। তোমার বাগদত্ত ছেলেটা কিন্তু তোমাকে কখনোই খুব বেশি সময় দিতে পারবে না। এখন তো ট্রেনিং এ আছে, কতবার কথা হয় দিনে? অথবা মাসে? আদৌ কথা হয়? হবে না। অফিসার হওয়ার পরও হবে না। শুধু শুধু ওর জন্য অপেক্ষা কেন করে আছো? এই যে, এই এপয়েন্টমেন্ট লেটার দেখো। একটা বড় কোম্পানিতে চাকরি হয়ে গেছে আমার। তোমার ঐ হবু বরের মত তোমাকে এক যায়গায় ফেলে দেশের জন্য ঘুরব না। কিন্তু তুমি তো নিজের ভালোটাই বুঝো না! একটা ছেলেকে বিয়ের পরও একা থাকতে হলে বিয়ে করে লাভ কি? এইজন্যই আমার এসব মিলিটারির মানুষদের দেখতে ইচ্ছা করে না! সুন্দরী সুন্দরী সিভিলিয়ান মেয়েগুলোকে বিয়ে করে একা ফেলে রাখে! কেন ভাই, যাদের সময় দিতেই পারবি না, তাদের দখল কেন করিস! যে খাবার তুই খেতে পারবি না, সেটা প্লেটে নেয়ার মানে আছে?"
কথাটা বলে বিশাল বিশ্রি একটা হাসি দেয়।প্রিয়ন্তির কিছুটা কাছে এসে বলল,
"এখনো সময় আছে, আমাকে নিয়ে ভেবে দেখো। আমার সাথে তোমার ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল হবে!"

প্রিয়ন্তি রাগে ফুসতে ফুসতে বিশালের পাশ কেটে দৌড়ে ছাদ থেকে দুদ্দাড় করে নেমে আসে। বাসায় এসে রাগে কাপড় গুলো বিছানার দিকে ছুড়ে মারে। কিছু কাপড় বিছানায় আর কিছু কাপড় মাটিতে ছড়িয়ে পড়ে। দরজা আটকে ও হাটু ভাঁজ করে ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে। ওর সৌন্দর্যের জন্যই আজ বিশালের মত অভদ্র ছেলে ওকে জ্বালাতন করছে। কি হত যদি ও আরেকটু কম সুন্দরী হত? কি হত? কেন আল্লাহ ওকে এত সুন্দর করে বানালো? নিজের মুখ এসিড দিয়ে ঝলসে দিতে ইচ্ছা করছে। বিশাল এসব কি বলে গেল ওকে? ছিঃ! একটা ছেলে একটা মেয়েকে এভাবে বাজে কথা বলতে পারে শুধু কাছে পাওয়ার জন্য? আবার ওকে খাবারের সাথেও তুলনা করল! কি নোংরা! এ কেমন নিচ মানসিকতা??

প্রিয়ন্তি ওর মাকে ইতিমধ্যে বলতে পারত অনেক কিছুই। কিন্তু ওর মায়ের সাথে কখনোই এত সখ্যতা ছিল না। ও যখন কৈশোরে পা রাখতে শুরু করেছে, তখন থেকেই ওর আব্বু ওর আম্মুকে মেয়ের জন্য ফ্লেক্সিবল হতে বলেন। কারণ মেয়ে এখন স্বাভাবিকভাবেই বাবা মায়ের কাছ থেকে নিজের সমস্যাগুলো লুকোবে। ওর সাথে সহজ না হলে বোঝা যাবে না তাদের মেয়ে আসলে কোন দিকে যাচ্ছে। প্রিয়ন্তির মা বিরক্ত হয়ে স্বামীকে বলেন,
"সংসারের এত দিক সামলে আবার তোমার মেয়ের মন আমি বুঝতে পারব না। ওর কিছু লাগলে ও আমার কাছে আসবে"। প্রিয়ন্তি ওর মায়ের কাছে মেয়েলি ব্যাপার ছাড়া আর কোনো সমস্যা নিয়ে যায়নি, ওর সব কথা ছিল ওর আব্বুর সাথে। যখন যা পারে নি, যখন যা নিয়ে মন খারাপ, সব নিয়ে বাবার কাছে গাল ফুলিয়ে বলেছে। ওর বাবাও মেয়েদের প্রতি, বিশেষ করে বড়টার প্রতি দুর্বল। সব বাবা মায়ের প্রথম সন্তান স্বভাবতই বেশি আদরের হয়।

রাতে খাবারের সময় প্রিয়ন্তি বই নিয়ে টেবিলে মাথা নিচু করে বসে আছে। অবন্তি এসে খেতে ডাকলে মানা করে দিল। অবন্তি ফেরত যাওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ওর মা চিৎকার করে ডাকতে থাকে। প্রিয়ন্তিও চিৎকার করে জানায় যে সে খেতে আসবে না। কয়েকটা উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পর প্রিয়ন্তির আব্বু ওর ঘরে আসেন। মেয়ের পাশে দাঁড়িয়ে মাথায় হাত রেখে ঘাড় কিছুটা কাত করেন,
"কিরে মা? তোকে ডাকছে সবাই, খাবি না কেন? রাতে ক্ষুধা নেই এটা কোনো কথা? চল, খেতে চল"
"আব্বু, আমি খাবো না..."

কথা শেষ হওয়ার আগেই কান্নায় ওর কন্ঠ বুঁজে গেল। ওর বাবা অবাক হয়ে বললেন,
"কি হয়েছে?! কাঁদতেছিস কেন?!"
প্রিয়ন্তি বারবার চোখ মুছতে থাকে। ও কিছুতেই চোখের পানি আটকাতে পারছে না, আবার ওর বাবার সামনে নিজের ভঙ্গুর রূপটাও দেখাতে পারছে না। রাব্বানী সাহেবের মাথায় হাজারটা দুশ্চিন্তা উঁকি দেয়।
"কিরে? কথা বল?"
প্রিয়ন্তি ওর বাবাকে হাত ধরে পাশে বিছানায় বসিয়ে চেয়ার ছেড়ে বাবার পাশে বসে।
"আব্বু, উপরতলার বিশাল ভাইয়া আছে না? সে না আমাকে দেখলেই খুব আজেবাজে কথা বলে!"
প্রিয়ন্তি আবার চোখ মুছতে থাকে।
"মানে? কি আজেবাজে কথা বলে?"
"বলে, আমাকে নাকি আসিফ বিয়ে করবে না। বিয়ে করলেও নাকি আমাকে ফেলে রাখবে, সময় দিবে না। তখন আমার আর বিয়েও হবে না। আর্মিরা নাকি এরকমই হয়, বউকে ফেলে রাখে। আমি যেন আসিফকে বিয়ে না করি, উনাকে করি। আমাকে আর আসিফকে নিয়ে নানান বাজে কথা বলে, বিশ্রি ভাবে হাসে, জানালায় ঢিল ছুঁড়ে, সিঁড়িতে আটকে রাখে, ছাদেও গেলে ঝামেলা করে। আমি আর এসব সহ্য করতে পারতেছি না। আমি পড়তে পারি না। আজকে ছাদেও অনেক বাজে বাজে কথা বলছে!"

প্রিয়ন্তির বাবা মেয়ের মাথা নিজের কাঁধে টেনে নেন। মনে মনে রাগ হচ্ছে, তার চাইতেও বেশি হচ্ছে দুশ্চিন্তা। ভেবেছিল মেয়ের বিয়ে ঠিক করে তাকে নিরাপদ করে ফেলেছে। অথচ আশপাশের নোংরা মানুষগুলো এরপরও তার মেয়ের দিকে ঢিল ছুঁড়ছে। রাব্বানী সাহেব উপরের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলেন,
"আল্লাহ! এই মেয়েকে তুমি আমানত হিসেবে আমাকে দিয়েছ। আল্লাহ! আমার মেয়েকে যেন আমি ঠিকঠাক মত রাখতে পারি! তুমি আমার মেয়েকে হেফাজত কর!"

চলবে...

Bạn đang đọc truyện trên: Truyen2U.Pro