১৫

Màu nền
Font chữ
Font size
Chiều cao dòng

আমি আবার, আর একটা বার
লেখা #AbiarMaria

১৫

এক মাস পার হয়ে গেছে।

প্রসেনজিৎ এর কাছে জিসান এর মাঝে তরীকে তিনবার নিয়ে এসেছে। আজকে শেষ বারের মত নিয়ে যাচ্ছে, আপাতত আর যেতে হবে না। তবে তরী যদি কোনো কারণে হতাশা অনুভব করে, কষ্ট পায়, চিন্তিত থাকে, সমস্যায় পড়ে, তখন সরাসরি তার চেম্বারে চলে যাবে। জিসান প্রতিবার ওকে গাড়িতে ড্রাইভ করে নিয়ে গেলেও বাচ্চাদের ব্যাপারে টুকটাক কথা হয়েছে। ওরা দুজনেই মৌনতা অবলম্বন করে আজকাল একে অপরের সামনে। জিসান স্বতঃস্ফূর্ত থাকার চেষ্টা করলেও ও পারছে না। কারণ ওর বিয়ের কথাবার্তা আগাচ্ছে। ঐ মেয়ের সাথে জিসান মায়ের চাপে পড়ে দেখা করে। মেয়েটার বয়স কম, তাই কিছুতেই রাজী হচ্ছিল না। জিসানের মত আকর্ষণীয় পুরুষকে সামনাসামনি দেখে সে রাজী হয়েছে। খুব শীঘ্রই হয়ত বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।

জিসানের খুব জানতে ইচ্ছে হয়, তরী কি জানে না এসব? তরীর কি একটুও খারাপ লাগছে না? এই যে ও তরীর জন্য সবসময় ছুটে ছুটে আসে, বিয়ে হলে কি আর ছুটে আসতে পারবে? তখন তো জিসানের জীবন অন্য নারীতে বাঁধা পড়বে। তরী কি সেটা মেনে নিতে পারবে? কষ্ট হবে না? নাকি তরী চায় জিসান দূরে চলে যাক? নিশ্চয়ই সে চায়। না চাইলে তো আগ্রহ প্রকাশ করত। এখন পর্যন্ত তরীর মাঝে ওর প্রতি এমন কোনো বিশেষ আগ্রহ দেখেনি যাতে ও নিজের বিয়ে ভাঙার সাহস পায়। বহুদিন পর ও মা খুশি খুব, একমাত্র ছেলের বিয়ে বলে কথা! সেই মাকে আবার দুঃখী দেখে লাভ হবে কোনো যদি তরী না রাজী হয়? ওর মায়ের তরীকে নিয়ে অভিযোগ নেই তেমন, কিন্তু তরীরই তো আগ্রহ নেই!

বরাবরের মত প্রসেনজিৎ এর রুফটপে খোলা আকাশের নিচে তরী আর প্রসেনজিৎ মুখোমুখি বসে আছে। আজ অফিসে কাজের চাপ থাকায় বের হতে দেরী হয়ে গেছে, তাই ছাদে বসে সূর্যের বিদায়ক্ষণ দেখা হয়নি। পুরো রুফটপে সাদা আলোয় আলোকিত হয়ে আছে। প্রসেনজিৎ এর রুচির প্রশংসা করতে হবে। এমন একটা যায়গায় বসলে যে কারো সব চিন্তা এমনিতেই বাতাসের তোড়ে ভেসে যাবে, কাউন্সেলিং প্রয়োজন হবে না। প্রসেনজিৎ তরীর দৃষ্টি অনুসরণ করলেন।
"তরী, ভালো আছো?"

এই এক মাসের মাঝে এই প্রথম তরীকে সে এই প্রশ্ন করল। তরী স্মিত হাসলো।
"জ্বী, ভালোই আছি"
"তুমি মিথ্যা বলছ"
তরী চমকে উঠল।
"তুমি ভালো নেই। এই যে আমার দিকে চেয়ে মাত্র হাসলে, এটা তোমার ভালো থাকার হাসি নয়। তুমি ভালো নেই তরী, তুমি চিন্তিত, ভীষণ চিন্তিত। কি নিয়ে চিন্তিত বলো তো?"
তরী দ্বিধাগ্রস্ত কন্ঠে জবাব দিল,
"আপনি কি করে সবসময় বুঝে ফেলেন সবকিছু?"
"এটাই তো আমার কাজ। আমি যদি না বুঝি, তাহলে চলবে কি করে? আই এম গুড এট দিস!"
"তার মানে আমি নিজেকে লুকাতে জানি না। তার মানে যে কেউ বুঝে যাবে আমার অবস্থা, তাই না?"
"কি এমন হলো যে তোমার নিজের খারাপ থাকাকে লুকাতে হবে?"

তরী হতাশ হয়ে দুহাতে মুখ ঢেকে ফেলল।
"আমি আসলে জানি না, আমার খারাপ লাগা একদম উচিত না, একদমই লজিক্যাল না ব্যাপারটা। কিন্তু তবুও আমার খারাপ লাগছে খুব, মানতে পারছি না"
প্রসেনজিৎ ধৈর্য ধরে তরীর দিকে চেয়ে আছে।
"আপনি তো জানেন জিসান ভাইয়া আর আমার বিয়ের কথা চলছিল বেশ অনেক দিন ধরেই। উনি আমার ভাসুর বলে আমি রাজী হইনি, উপরন্তু আমি ইমরানকে আজও ভালোবাসি বলে আগাইনি। অথচ উনার বিয়ে ঠিক হয়ে যাচ্ছে শুনে আমার ভালো লাগছে না। উনি আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে, অনেক। অথচ আমি উনাকে নিষেধ করে দিয়েছি এত কিছু সত্ত্বেও। অবশ্যই এর পেছনে অনেক কারণ আছে। অথচ আমার কেন উনার বিয়ের কথা শুনলেই খারাপ লাগছে, তার কোনো কারণ পাচ্ছি না!"

প্রসেনজিৎ চেয়ারে হেলান দিয়ে পায়ের উপর পা তুলে আরেকটু আয়েশী ভঙ্গিতে বসলেন।
"নিজেকে প্র‍শ্ন করো। কেন কষ্ট পাচ্ছো?"
"জানি না"
"তাকে ভালোবাসো?"
তরী জোরে জোরে মাথা নাড়ল।
"না, না! ওরকম কিছু না"
"তাহলে কি?"
"জানি না"
"সম্ভবত তুমি ইনসিকিউর ফিল করছ"
"মানে? কেন?"
"কারণ জিসান এখন তোমাকে সাপোর্ট করছে, বিয়ের পর আর সাপোর্ট করবে না। তুমি হয়ত ভাবছো, এখন যেভাবে তাকে পাচ্ছো, বিয়ে হয়ে গেলে আর তা হবে না। তাই কষ্ট পাচ্ছ"
"তার মানে আমি নিজের স্বার্থের জন্য কষ্ট পাচ্ছি?"
"এছাড়া আর কি?"

তরী পিঠ সোজা করে অস্বাভাবিকভাবে বসে আছে। গাল চুলকে আবার বলল,
"কিন্তু আমি কি করব এখন? উনার বিয়ের কথা শুনলেই আমার মেজাজ খারাপ হচ্ছে, বিরক্ত লাগছে। আমি কিভাবে নিজের অনুভূতি লুকাবো? আমি চাই না কেউ জানুক!"
"কেন চাও না?"
"কারণ কেউ জানলে ভুল বুঝবে"
"কি ভুল বুঝবে? ভাববে তুমি তাকে বিয়ে করতে চাও?"
তরী মাথা নিচু করে আছে।
"তো তাতে সমস্যা কি?"
"আমি জানি না আমাকে বিয়ে করতে চাওয়া তার পারিবারিক সিদ্ধান্ত, নাকি নিজের। কিন্তু আমিই তো তাকে ফিরিয়ে দিয়েছি। এখন আমার কি বিরক্ত হওয়া উচিত? এটা তো খুব ভুল একটা আচরণ! তাছাড়া উনি কি আমাকে পছন্দ করে কিনা, সেটাও জানি না!"
"জানার চেষ্টা করেছ কখনো?"
"মানে?"
"মানে জিসানকে কখনো জিজ্ঞাসা করেছ সে তোমাকে নিয়ে কি ভাবে? আপাতত দৃষ্টিতে দেখা যাচ্ছে ও তোমার অনেক যত্ন নিচ্ছে যা তুমি সবসময় স্বীকার করেছ আমার কাছে। কিন্তু কখনো জানার চেষ্টা করেছ সে কেন যত্ন নেয় তোমার?"
তরী আনমনে বলল,
"হয়ত ইমরানের স্ত্রী বলে। ভাইয়ের প্রতি দুর্বলতা থেকেই হয়ত আমার দিকে খেয়াল রাখে"
"আসলেই কি তাই?"

প্রসেনজিৎ এর মুখে রহস্যময় হাসি। তরী সেটা দেখে দ্বিধায় পড়ে গেল। আসলেই কি তাই যা তরী ভাবছ?
"এখন আমি কি করব?"

প্রসেনজিৎ তার সামনে থাকা চায়ের কাপ দেখালো।
"তরী, সম্পর্ক গুলো হচ্ছে এই কাঁচের স্বচ্ছ কাপের মত। দেখো, এই কাপটা এত স্বচ্ছ যে এর কোন লেয়ার পর্যন্ত চাপাতি, চিনি পড়ে আছে, তা দেখা যাচ্ছে। এই যে তলানিতে দুটো চিনির দানা, তা দেখা যাচ্ছে কারণ এই কাপ পরিষ্কার করে রাখা। যদি কোনো সম্পর্ক ঘোলাটে হয়, তবে কখনো জানতে পারবে না তলানির কোথায় চা পাতি আছে, আর কোথায় চিনির দানা। সম্পর্ককে তাই সবসময় ধুয়ে মুছে পরিষ্কার রাখতে হয় যেন একে অপরকে জানা যায়। তোমাদের দুজনের মাঝে সামাজিকভাবে যে সম্পর্ক আছে, সেই সম্পর্কের জের ধরেই কি জিসান তোমার যত্ন নিচ্ছে, নাকি অন্য কিছু তার মনে আছে, সেটা তাকে জিজ্ঞাসা করেই জেনে নাও! এতে শুধু সে না, তুমিও নিজের এই আচরণ এর জবাব পাবে। আর সম্পর্কটা হবে এই কাপের মত স্বচ্ছ!"

"আমি নাহয় তাকে প্রশ্ন করলাম। কিন্তু আমি কি কোনো ভুল করেছি? কেন বারবার মনে হচ্ছে কিছু একটা ঠিক নেই, ভুল হচ্ছে কোথাও? মানে, হয় না এমন যে, আমরা যখন কিছু ভুলে যাই বা ভুল করি, তখন অন্য রকম একটা অস্থিরতা কাজ করে? কেন আমার এমন অস্থিরতা কাজ করছে? আমি উনাকে বিয়ে না করে কি ভুল করেছি?"
"হয়ত, হয়ত বা না!"
তরী বিরক্ত হলো প্রসেনজিৎ এর উপর।
"কি অদ্ভুত! আপনি কোথায় আমাকে বলবেন কোনটা ভুল, কোনটা ঠিক। তা না করে উলটো কনফিউজড করে দিচ্ছেন কেন?"
"কারণ জীবন তোমার, সিদ্ধান্ত তোমার নিতে হবে। আজকে যদি আমি বলি, তুমি জিসানকে ফিরিয়ে দিয়ে ঠিক করেছ, তাহলে জীবনের একটা মোড়ে গিয়ে যদি দেখো ঠিক করোনি, তখন আমাকে অভিশাপ দেবে। আবার যদি আমি বলি ভুল করেছ, তাহলেও একই ঘটনা ঘটবে। আমার কাজ কিন্তু তোমাকে সিদ্ধান্ত নিয়ে দেয়া নয়, তোমাকে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করা"
"তাহলে সেটাই করুন না!"
"ঠিক আছে। কয়েকটা প্রশ্ন করি তোমায়। জিসান তোমার ভাসুর না হয়ে অন্য কেউ যদি হতো, তবে কি বিয়ে করতে?"
"হয়ত হ্যাঁ। এতদিনের পরিচয়ে কোনোদিন তাকে সেই দৃষ্টিতে দেখিনি বলে বিয়ে করার ব্যাপারটা মানতে পারিনি"
"তার মানে সামাজিক এই সম্পর্কের কারণে তুমি তাকে দূরে সরিয়ে দিয়েছ"
"শুধু এটা না। আমার অপরাধবোধ হয়। মনে হয়, আমি ইমরানের সাথে বেঈমানী করছি, ওর ভালোবাসার অপমান হবে আমি আবার বিয়ে করলে"
"আর?"
"আর মনে হয়, আমার বাচ্চারা বড় হয়ে যখন জানবে আমি ওদের বাবা মারা যাওয়ার দুই বছরের আগেই আবার বিয়ে করেছি, তখন ওরা আমাকে ঘৃণা করবে। শুধু ওরা না, সমাজের সবাই আমাকে আজেবাজে কথা বলবে"
"কিন্তু তোমার পরিবারের মানুষরা তো রাজী ছিল। তাদের সম্মতিতেই তো তোমাদের বিয়ের কথা হচ্ছিল"
"হ্যাঁ, কিন্তু তবুও। আমার কাছে এটা খুব ভুল একটা কাজ মনে হয়েছে। তাই আগাইনি"
"আচ্ছা, জিসান কি কখনো এমন কোনো কাজ করেছে যাতে তুমি কষ্ট পাও?"
তরী কয়েক সেকেন্ড ভাবলো।
"নাহ। এমন কিছু করেন নি উনি!"
"জিসান কি এমন কোনো কাজ করেছে যাতে তোমার মনে হতে পারে ও তোমার প্রতি দুর্বল?"
"আমার যে কোনো বিপদে ডাকলেই সে ছুটে আসে, না ডাকলেও অবশ্য চলে আসে। এজন্য কিছুটা সস্তাও মনে হয় তাকে আমার। মানে আমি চাইলেই কেন তাকে আসতে হবে?"
"প্রশ্নটা নিজেকে করো। কেন তুমি চাইলেই সে চলে আসে? আসলেই কি সে সস্তা? নাকি কেবল তোমার জন্য নিজেকে সস্তা করে ফেলেছে?"
তরী চুপ করে আছে। প্রসেনজিৎ আবার বললেন,
"শেষ প্রশ্নটা করি। এর জবাব আমাকে দিতে হবে না, তুমি নিজে নিজেকে করবে। জিসানের বিয়ে হয়ে গেলে তুমি কি তাকে, তার যত্ন নেয়াকে মিস করবে? তোমার কি খারাপ লাগবে না এটা ভেবে যে, এতদিন যার সেন্টার অফ এট্রাকশন তুমি ছিলে, আজ সেটা অন্য কেউ? এত দিন যে তোমার বাচ্চাদের বাবা হতে চেয়েছে, আজ তার অন্য নারীর সাথে বাচ্চা রয়েছে? ভাবো তরী, ভাবো। নিজেকে বারবার প্রশ্ন করো"

তরী যখন জিসানের সাথে গাড়িতে উঠল, তখন এক হাজার বার বলতে চেয়েছিল নিজের প্রশ্নগুলো। হাজার বার মনের ভেতর কথা সাজিয়েও একটা শব্দ মুখ থেকে বের করার আগেই নিজের বাসায় পৌঁছে গেল। গাড়ি থেকে নামার সময় ধন্যবাদ ছাড়া আর একটা শব্দও মুখ থেকে বের হয়নি তার। জিসানের মুখ দেখে ও বুঝতে পারলো না তার মনে কি চলছে।

বাসায় পা রেখেই ইকরার কাছে শুনলো, আগামী সপ্তাহে জিসানের আকদ। এই কথা শুনে মন আরও বিক্ষিপ্ত হয়ে গেছে। বাচ্চাদের নিয়ে ব্যস্ত থাকার চেষ্টা করেও তার মাথায় কেবল বিভিন্ন প্রশ্ন ঘুরে বেড়াচ্ছে। রাত এগারোটার দিকে খেয়ার ফোন আসলো। ব্যস্ততার কারণে বেশ কিছু দিন ধরে বোনের সাথে কথা বলতে পারেনি। ফোন রিসিভ করে কুশলাদি বিনিময়ের পরে খেয়া বলল,
"আপু, তোমার মন খারাপ নাকি?"
তরী চুপ হয়ে গেল। খেয়া ওপাশ থেকে কয়েকবার ডাকার পর জবাব দিল,
"তুই কি করে বুঝলি?"
"তার মানে আসলেই কিছু একটা হয়েছে। কি হয়েছে আপু?"
"কিছু না, বাদ দে। একটা নিউজ আছে। জিসান ভাইয়ার আকদ আগামী সপ্তাহে"
খেয়া চমকে গেছে।
"কি বলছ! তোমার কি এজন্য মন খারাপ?"
"জানি না রে! আমার কেন এমন অস্থির লাগছে বুঝতে পারছি না। বারবার মনে হচ্ছে, কিছু একটা ঠিক হচ্ছে না, সেটা কি জানি না"
"আপু, জিসান ভাইয়া খুব ভালো একটা মানুষ। তুমি উনাকে হারিয়ে ফেললে অনেক বড় একটা লস হবে তোমার"
"আশ্চর্য! এখানে লাভ লসের হিসাব আসছে কেন? আমি কি স্বার্থপর নাকি যে কি করলে লাভ আর কি করলে লস, সে হিসাব করে চলব?"
"আহ, রাগ কেন করছ? জীবনে কিছু সময় এসব ভাবা লাগে, স্বার্থপর হওয়া লাগে"
"আজব! স্বার্থপর কেন হব?"
"তাহলে তোমার খারাপ লাগছে কেন বলো?"
"জানি না রে, ভাল্লাগছে না। আমি রাখি, পরে কথা বলব"

তরী ফোন কেটে দিল। বাচ্চারা ঘুমায়নি, এখনও বিছানায় নড়াচড়া করছে, একজন আরেকনকে খোঁচা দিচ্ছে। তরী অন্য সময় দুজনকেই বকতে থাকে ঘুমানোর জন্য, আজ সেদিকে ওর মনোযোগ নেই। উঠে দাঁড়িয়ে পায়চারি করছে আর এক হাত থেকে আরেক হাতে ফোন নিচ্ছে। অস্থিরতায় সময় কাটছে না ওর। এমন লাগছে কেন? নাহ, ওর জানতে হবে জিসান কেন এখনো ওর খেয়াল রাখছে। ওদের কোনো ভুল হচ্ছে না তো?

জিসানের নাম্বারে একটা টেক্সট করলো।
"কাল বিকালের দিকে আমাকে একটু সময় দিতে পারবেন?"

চলবে...

Bạn đang đọc truyện trên: Truyen2U.Pro