২৪

Màu nền
Font chữ
Font size
Chiều cao dòng

অফিস শেষে জিসান তরীকে নিতে এসেছে। গাড়িতে উঠেই জিসান বলল,
"সরি, আজ দেরী হয়ে গেছে বোধহয়"
"সমস্যা নেই। আমারও হাতে কাজ জমে ছিল। মানুষ পারেও! যেগুলো আমার কাজ, সেগুলো নিজেরা তো করেইনি, নিজেদের কাজও কিছু আমার ঘাড়ে চাপিয়ে দিয়ে রেখেছে। সিনিয়রদের কিছু বলতে পারি না, সহ্যও হয় না"
"এরকম কাম চোর মানুষ তো আমাদের দেশে এভেইলেবল! অন্যান্য জাতি যেখানে অন্যের বোঝা সুযোগ থাকলে নিজেই টেনে নেয়, সেখানে এরা নিজের বোঝা কি করে অন্যের ঘাড়ে চাপাবে, সেই ধান্ধায় থাকে"
"আপনি তো অফিসে সিনিয়র। আপনিও কি এরকম করেন?"
"না, আমার এসব বদঅভ্যাস নেই। আমি নিজের কাজ নিজে করি, আর যেটা অন্যদের কাজ, সেটা তাদের দিয়ে করিয়ে নেই। আমাদের জীবনে স্ট্রেস এমনিতেই বেশি, খামোখা অন্যের স্ট্রেস বাড়ালে অভিশাপ ছাড়া আর কিছু কপালে জুটবে না"

তরী ভাবছে, একটা কথা স্বীকার না করলেই না। জিসান মন থেকে খুব ভালো একটা মানুষ। তার চিন্তা চেতনা, বিচার আচার অনেক উন্নত। ইমরানও এমনই ছিল, ইনফেক্ট ওদের কাজিনদের মাঝে নীতি নৈতিকতা খুব সুন্দর। এদের বাবা মাও এমন, কখনো দুর্নীতি, বাটপারি, মিথ্যা বলা, ঝামেলা পাকানো, এসবের মাঝে নেই। ছোট ছোট দোষ তো সবার মাঝেই থাকে, কিন্তু খুব বড় কোনো ঘাপলা এদের মাঝে নেই বললেই চলে। কিছুদিন আগেও জীবনকে অনেক বেশি কঠিন আর স্রষ্টাকে বড্ড অবিচারক মনে হতো। বাচ্চাদের নিয়ে ছুটতে ছুটতে হাঁপিয়ে উঠেছিল। ও কি জানত জিসান এভাবে ওর ছায়া হয়ে মাথার উপর দাঁড়াবে? তবুও দুশ্চিন্তা হয়। বাচ্চার বাবা তো হয়েছে সে, দায়িত্ব কতদিন পালন করবে? কখনো যদি বাচ্চাদের দায়িত্ব সে অস্বীকার করে বসে? কিংবা বিরক্তিতে ওদের দূরে ঠেলে দেয়? হাজার হোক, নিজের সন্তান তো না। অন্যের ঔরসজাত সন্তানকে নিজের বলে বড় করতে কজন পারে?

জিসান মনোযোগ দিয়ে ড্রাইভ করছে। তরী আড়চোখে জিসানকে দেখে। ওদের ছেলে মেয়ে হলে ইশতি আর তন্দ্রাকে কি সে দূরে সরিয়ে দিবে? যদি দেয়?

জিসান ড্রাইভ করতে করতে তরীর দিকে তাকায়।
"আমার দিকে তাকিয়ে কি ভাবছো শুনি?"
তরী সাথে সাথে অন্য দিকে মুখ ঘুরিয়ে নিল।
"কিছু না, এমনিই"
"ভাবছো, আমি খুব হ্যান্ডসাম, তাই না?"
"মোটেও তা না! খুব সেল্ফ অবসেসড আপনি, না?"
"তা না। তবে আমি যে হ্যান্ডসাম, এটা জানি!"
"তাই নাকি! অমন মিথ্যা কথা কে বলল আপনাকে?"
"মিথ্যা? তার মানে তুমি বলতে চাও আমি হ্যান্ডসাম না?"
"আপনি এভারেজ!"
"এভারেজ?! দ্যাট ওয়াজ রুড!"
"নো, ইটস দ্যা ট্রুথ"
"তাহলে চলো ডাক্তারের কাছে যাই"
"কেন?"
"তোমার চিকিৎসা দরকার"
"কিসের চিকিৎসা!"
"চোখের, আর কিসের!"
"ইশ!"
"এত সুন্দর একটা মানুষকে তুমি এভারেজ বলো, আমি নিশ্চিত তুমি চোখে কম দেখো"
তরী হাসছে।
"বাই দ্যা অয়ে, তুমি কিন্তু সুন্দরী, যথেষ্ট সুন্দরী! মাঝে মাঝে তোমাকে আগুন সুন্দরীও লাগে"
"আচ্ছা! তো কবে লেগেছিল আগুন সুন্দরী?"
"সেটা বলা যাবে না"
"যেদিন আগুন সুন্দরী লেগেছিল, সেদিনই বুঝি আমাকে পছন্দ করেছেন?"
"তোমাকে পছন্দ করার কারণ তোমার সৌন্দর্য না। হ্যাঁ, সৌন্দর্য অবশ্যই একটা ব্যাপার, আমরা সবাই সুন্দরের পূজারী। তবে এরকম কিছু হয় নি সেদিন। তোমার ভুল ধারণা"
"তাহলে যেদিন আমাকে পছন্দ করেছেন, সেদিন কেন আমাকে পছন্দ করলেন? কেবল ইশতির মা বলে তো নিশ্চয়ই না!"

জিসান হাসলো।
"তোমার এত আগ্রহ কেন আমি কবে তোমার প্রতি আগ্রহী হয়েছি সেটা জানার জন্য?"
"কারণ আমি আপনাকে ঠিকঠাক পড়তে পারছি না। আমি জানতে চাই"
"এটা কোনো জানার বিষয় না। ওটা আমার নিজস্ব ভাবনা। তোমার জানার কোনো দরকার নেই"
"আমাকে ঘিরেই যে ঘটনা ঘটছে, তা জানার আমারই দরকার নেই?"
"না নেই"

ওরা দুজন বাসায় পৌঁছে গেছে তখন। বাসায় ফিরেই তরী বাচ্চাদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। তবে আগের মত না, কারণ এখন জিসানও আছে। ইশতি আর তন্দ্রা জিসানের কাছেই ছুটে এসেছে আজ। তরীর ওদের বন্ডিং দেখতে খুব ভালো লাগে, নিজেকে সুখী সুখী অনুভব হয়। বাচ্চাদের আদর করে ফ্রেশ হয়ে শাশুড়ীকে সাহায্য করতে যায় রান্নাঘরে। জোছনা মাঝে মাঝে রেগে গেলেও ভেতর থেকে সে ভয়াবহ রকমের নরম আর ধৈর্যশীল মানু্ষ। এখনও সে তার ছেলেমেয়েদের পিছনে প্লেট নিয়ে ছুটে ছুটে খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। অন্যরা যখন বাচ্চাকাচ্চা ছোট থাকতেই বিরক্ত হয়ে যায়, জোছনা তার সন্তানদের উপর কখনোই বিরক্ত হোন না। আগে এসব দেখে তরী খুব আনন্দ পেত, এখন তরীকেও তিনি একইভাবে আদর করেন। ও যখন রান্নাঘরে আসে, তখন তিনি প্রায়ই ওকে ঠেলে বের করে দিতে চান। তরী তারপরও জোর করে কাজে সাহায্য করে, ওর ভালো লাগে এমন মানুষদের সাথে থাকতে।

রাতের খাবার খেয়ে কখন যে ওরা ঘুমিয়ে গেল, জানে না। জিসান আর তরী দুজনেই ক্লান্ত। পরদিন সকালে উঠেও একই অবস্থা। অফিস, বাসা, ঘুম। তরী জিসানের দিকে মনোযোগ দেয়ার সুযোগ পায় না, জিসানও অফিস থেকে কিছু কাজ বাসায় নিয়ে আসে। দুজন দুজনের মত ব্যস্ত থাকে। তার মাঝে ইশতি ঠান্ডা লাগিয়ে বসে আছে। তরী ছেলেকে নিয়ে ব্যস্ত। রাত একটু বাড়তেই ওর গায়ে গায়ে জ্বর। তরী ছেলের গা মুছিয়ে দিয়ে প্রায় সারারাত অন্ধকারে জেগে জেগে কাটালো। শেষ রাতের দিকে ঘন্টাখানেকের মত ঘুম হলেও তন্দ্রার কান্না শুনে ঘুম ভেঙে গেছে। এরপর তন্দ্রাকে নিয়ে ব্যস্ত থাকতে থাকতেই ফজরের আযান শোনা গেল মসজিদে।

তরী যখন নামায পড়ে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়ল, তখন সময় হলো ওর অফিসে যাওয়ার জন্য তৈরি হওয়ার। জিসান প্রতিবারই টের পেয়েছে যে তরী ঘুমাচ্ছে না, উঠে পড়েছে। এখন ওকে ডাক দিতে সংকোচ হচ্ছে। তারপরও উঠতে হবে, অফিসে যেতে হবে। নিজে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা এনে তরীকে ঘুম থেকে উঠার জন্য ডাকলো। তরী চোখ লাল করে জিসানের দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। রাগ হয়েছে, নাকি বিরক্ত হয়েছে, নাকি স্বাভাবিক, ঠিক বোঝা যাচ্ছে না। জিসান টেবিলের উপর খাবার রেখে বলল,
"খারাপ লাগছে? আরেকটু ঘুমাবে?"

তরী মাথার পাশ থেকে ওড়না টেনে গায়ে জড়াতে জড়াতে বলল,
"আর ঘুমিয়ে কি হবে? অফিসে তো যাওয়া লাগবেই"
"খারাপ লাগছে শরীর?"
"মাথা ব্যথা করছে। আমি না ঘুমিয়ে থাকতে পারি না"
"ইশতির জ্বর এসেছে আর?"
"রাতে একটু তাপ বেড়েছিল বোধহয়, তবে তেমন কিছু না। দেখি কি হয়"
"তুমি আজকে না হয় ছুটি নাও?"
"দুদিন পর পর ছুটি নিলে চাকরি থাকবে?"
"চাকরি ছেড়ে দিলেও তো পারো?"

তরী ঝট করে জিসানের মুখের দিকে তাকালো। কথাটা ওর মুখ ফসকে বেরিয়ে পড়েছিল, তাই অপ্রস্তুত হয়ে বলল,
"এমনিই বললাম। এত প্রেশার নিয়ে অফিস করছ, পরে যদি আবার অসুস্থ হয়ে পড়ো? তাছাড়া এখন তো আর তুমি চাকরি করতে বাধ্য না"
"আচ্ছা?! তাহলে আমার বাবা মাকে আমি যদি কিছু কিনে দিতে চাই, তাহলে কোত্থেকে টাকা পাবো? বাচ্চাদের কিছু লাগলে কি করব? আপনার কাছে হাত পাতব?"
"এটা কেমন কথা! হাত কেন পাতবে? বাচ্চাদের দায়িত্ব তো বিয়ের সাথে সাথেই আমার হয়েছে। আর তোমার বাবা মাকে কিছু দিতে চাইলে আমার মানিব্যাগ থেকে নিয়ে নিবে। শুধু কত এমাউন্ট নিয়েছ, সেটা জানালেই হবে"

তরী হাঁটু উঁচু করে ভাঁজ করে বুকের সাথে চেপে ধরে তাচ্ছিল্যের হাসি দিল।
"এত ভালো হবেন না প্লিজ। আপনার ভাই আমাকে কখনো এভাবে টাকা দেয়নি!"
জিসান ঠোঁট উল্টালো।
"সেটা ওর নিজের ব্যাপার। তবে আমি সেই স্বাধীনতা দিচ্ছি তোমাকে। তোমার বাবা মা তো আমারও বাবা মা। আর আমি আমাদের ছেলে মেয়েকেও এভাবে বড় করব যেন সে তার শ্বশুর শাশুড়িকে নিজের বাবা মা ভাবে। বাবা মাকে খরচ দেয়ার জন্য যদি চাকরি করেই বউকেই সব কিছু করতে হয়, তাহলে আর ছেলেদের বিয়ের দরকার কি? সব তো বউই করে ফেলছে!"

জিসান বোধহয় রাগ করেছে, তরীর মনে হলো। ও নিজেকে সামলে নিয়ে বলল,
"আসলে এটা মূল কথা না। বাচ্চারা তো এমন থাকবেই। দুই বাচ্চার মা হয়ে গেছি, ওদের দেখাশোনা করতে গিয়ে কত শত বিনিদ্র রজনী পার হবে, কে জানে! এরকম তো হতেই থাকবে। ওরা অসুস্থ হবে, আমিও রাত জাগব। এজন্য যদি অফিস ছেড়ে দেই, তাহলে তো ঘরে বসে বসে আমি ঘরকুনো হয়ে যাবো। বাচ্চাদের নিয়ে থাকতে থাকতে ওদের বেশি বেশি মারব। এজন্য কষ্ট হলেও চাকরি ছাড়তে চাচ্ছি না"

জিসান উঠে দাঁড়ালো।
"তুমি যে সিদ্ধান্ত নিবে, আমি তার সাথে আছি। এবার মুখ ধুয়ে খেতে আসো। অফিসে দেরী হয়ে যাবে"

তরী ওয়াশরুমে ঢুকে মুখে পানি দিতে দিতে নিজের মুখের দিকে তাকালো। জিসান ওকে যে এভাবে মেনে নিচ্ছে, ও যা চাচ্ছে তাতেই রাজী হচ্ছে, কেন? শুধু ভালোবাসে বলে? তরী গালে হাত বুলাচ্ছে। নিজেকে অনেক ভাগ্যবতী মনে হচ্ছে। এ কারণে জিসানের জন্যও কিছু একটা করতে খুব ইচ্ছা করছে। কিন্তু কি করবে? জিসানকে কি জিজ্ঞাসা করবে ও কি চায়? বারবার ওর কানে বাজছে, 'আমাদের ছেলে মেয়ে', 'তোমার বাবা মা আমারও বাবা মা'। এই লোকটা এত ভালো কেন? অথচ এত ভালো মানুষ হয়েও তরীর মত দুই বাচ্চার মাকে বিয়ে করল যার কিনা বিবাহিত জীবনের উপর তেমন কোনো আগ্রহই নেই। না পারছে ভালো মানুষটাকে মন থেকে সবটুকু উজাড় করে দিতে, না পারছে তার প্রয়োজন মেটাতে। মুখে পানির ছিটা দিয়ে আয়না দেখে নিজেকে বলল,
"তরী, আজকে থেকে নিজেকে বদলা। এত ভালো মানুষকে যদি উপযুক্ত মর্যাদা দিতে না পারিস, তোর দুনিয়াতে থাকাই উচিত না!"

ওদিক থেকে জিসান টয়লেটে নক করে বলল,
"আজকে অফিসে না গিয়ে কাকে দুনিয়া থেকে বিদায় দিচ্ছো?"

তরী জিভে কামড় দিয়ে তাড়াহুড়ো করে দরজা খুলে বেরুতে গিয়ে জিসানের সাথে ধাক্কা খেয়ে রীতিমতো পড়ে যাওয়ার জোগাড়। জিসান খপ করে ওকে ধরে ফেলেছে। সোজা হয়ে দাঁড়ানোর পর ও বলল,
"সারা রাত না ঘুমিয়ে এখন দেখি ধাক্কা লেগেই পড়ে যাচ্ছো! আজকে অফিস যাবে তো নাকি?"
তরী সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে জিসানের হাত থেকে নিজেকে ছাড়ালো। অপ্রস্তুত হাসি দিয়ে বলল,
"যাবো তো, যাবো না কেন? ঘুমের কারণে না, তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে পড়ে গেছি"
"হয়েছে। দেখো, আবার হাত পা ভেঙে বসে থেকো না। যাও, নাস্তা করে নাও, আমার খাওয়া শেষ"

তরী অন্যদিকে ফিরে ভাবলো, আজকে অফিসে গিয়ে সত্যি সত্যি ওর খুব কষ্ট হবে। ইশ, আজ সত্যি সত্যি অফিসে না গিয়ে থাকা যেত! কিন্তু সেটা অসম্ভব। অফিসে আজকে অনেক কাজ, এক দিনে দুটো মিটিং ডাকা হয়েছে। দেখা যাক কতদিন চাকরি করা যায়!

অনেক ক্লান্তি নিয়ে অফিস করে বাসায় আসার পর আবার ছেলে মেয়ের ঘ্যানঘ্যানানি। এবারও রাতে ঘুমাতে পারছে না, ইশতি বারবার ঘুম থেকে উঠে যাচ্ছে। তরী বাধ্য হয়ে জিসানকে বলল,
"আপনার বোধহয় অন্য ঘরে ঘুমালে ভালো হয়"

জিসান কাঁথা টেনে শুয়ে পড়েছিল। ঘাড় ঘুরিয়ে বলল,
"কেন?! এখনো কি তন্দ্রাকে আমার সামনে খাওয়াতে সমস্যা হয়?"
"না না, এজন্য না তো! ইশতি খুব জ্বালাচ্ছে। আপনি যদি এখানে থাকেন, তাহলে ঘুম নাও হতে পারে। এজন্য বলছিলাম"
জিসান বলল,
"বাচ্চা তো তোমার একার না, আমারও। একা তুমি কেন জাগবে? আমারও তো মাঝে মাঝে জাগা উচিত! "

"না না!? কি যে বলেন, আপনি কেন রাত জাগবেন? আপনার তো অভ্যাস নেই। আমার এসব নাইট ডিউটি করে অভ্যাস আছে। আপনি কেন কষ্ট করবেন?"
"কারণ আমি ওদের বাবা, আর বাবাদেরও অনেক দায়িত্ব থাকে"
"আপনার বিরক্ত লাগবে পরে"
"বিরক্ত লাগলে কি ওদের বাবা হতে পারব?"

জিসান উঠে বসে ইশতি বুকে জড়িয়ে ধরল। তরীকে ইশারা করল শুয়ে পড়ার জন্য। তরী কিছুই বলতে পারলো না। ইশ, জিসানের মত এই মনোভাব যদি সবার থাকত, তাহলে মেয়েদের আর কষ্ট হতো না! কৃতজ্ঞতার নজরে জিসানকে দেখতে দেখতে ভাবলো, আজীবন এই ভালোবাসার সম্পর্ক অটুট থাকলেই হয়...

চলবে...

Bạn đang đọc truyện trên: Truyen2U.Pro