Màu nền
Font chữ
Font size
Chiều cao dòng

আমি আবার, আর একটা বার
লেখা #AbiarMaria

খেয়া বাচ্চাদের তৈরি করছে আর তরী নিজে তৈরি হচ্ছে। আয়নার সামনে গিয়ে দ্রুত হাতে চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতে ও খেয়াল করল, চুলে একেবারে প্রাণ নেই। আজ বছর দুইয়ের মত হবে চুল ট্রিম করা হয় না। তন্দ্রা পেটে আসার পর থেকেই ওর শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছিল খুব বেশি। সেই সাথে ত্বকের অযত্ন, চুলের অযত্ন হয়েছে প্রচুর। নিজের দিকে খেয়াল করবে, সেই সুযোগ আর পেলো কই? স্থির হওয়ার আগেই ইমরান ওকে একা করে চলে গেল। আজকাল আয়নাকেই তো একটা অপ্রয়োজনীয় বস্তু মনে হয়। বাচ্চারাই আয়না দেখে, দুষ্টুমি করে, তরীর আয়নাতে নিজেকে দেখার সময় নেই।

আয়নাতে বোনের প্রতিবিম্বের দিকে চেয়ে সে ভাবছে, খেয়ার চাইতেও স্মার্টলি ও চলত, তবে ম্যাচিউরিটির দিক থেকে সে সবসময় বোনের পিছে পড়ে গেছে। অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে পড়লেও বয়সের তুলনায় ওর বোনে চলাফেরা, আন্দাজ, বিবেক, দুরদর্শিতা- সব কিছু ওর চেয়ে উন্নত। তরী ধীরে দীর্ঘশ্বাস গোপন করে। খেয়া না থাকলে আজ ও যে কোথায় থাকত! ওর বাবা মাও হয়ত খুব বেশিদিন ওকে সহ্য করতে পারত না, এত সাপোর্ট দিতে পারত না। নিজেকে খেয়াল করতে করতে ভাবে, খেয়া ওর যায়গায় থাকলে কি সিদ্ধান্ত নিত?

বাচ্চাদের তৈরি করে নিচে নামার পর দেখল জিসান গাড়ি রাস্তার এক পাশে পার্ক করে তাতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইশতি নেমেই ওকে দেখে 'আব্বু' ডাক দিয়ে এক দৌড়। জিসান ইশতিকে কোলে নিয়ে আদর করতে করতে খেয়াল করল, তরী একটা হালকা টিয়া রঙের থ্রিপিস পরে তন্দ্রাকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। ইশতিকে পেছনের দরজা খুলে বসাতে গেলে তরীও গাড়ির ডান দিকের প্যাসেঞ্জার সিটের দরজা খুললো। জিসান দ্রুত বলল,
"তুমি সামনে বসো, ইশতি পেছনে বসুক"
"সামনে? কিন্তু... "
"সামনে না বসলে আমাকে ড্রাইভার মনে হবে"

তরী কিছু বলার আগেই ইশতি বলল,
"ড্রাইভার কাকে বলে?"
জিসান ওর মাথায় হাত বুলিয়ে হেসে বলল,
"যে গাড়ি চালায়,তাকে ড্রাইভার বলে"
"আমই ড্রাইভার হবো!"
"ঠিক আছে, বড় হও, তখন নিশ্চয়ই হবা। এখন পেছনে বসে বসে আমাকে দেখো আমি কিভাবে ড্রাইভ করি। আমাকে না দেখলে তো জানতে পারবা না কিভাবে ড্রাইভ করতে হয়। তারপর এক্সিডেন্ট করবা"

তরী তখনও দাঁড়িয়ে আছে। তন্দ্রার স্ট্রলার গাড়ির ট্রাঙ্কে রাখতে হবে। জিসান ইশতিকে ভেতরে বসিয়ে স্ট্রলার ট্রাঙ্কে ঢুকিয়ে রেখে তরীকে সামনের প্যাসেঞ্জার সিটে বসার জন্য দরজা খুলে দাঁড়ালো। সব শেষে নিজে উঠে গাড়ি স্টার্ট করল। গাড়ি রওনা হওয়ার কয়েক মিনিট পর তরী প্রশ্ন করল,
"কোথায় যাচ্ছি আমরা?"
"এক যায়গায় বসে কথা বলতে। তোমার সাথে আমার জরুরি কিছু কথা আছে। সরি, আমি তোমাকে বেশি সময় দিতে পারলাম না তৈরি হওয়ার জন্য। আগে বলার সুযোগও পাইনি। একটু তাড়াহুড়োর মাঝে নিয়ে আসলাম তোমাদের৷ দুপুরের খাওয়া হয়েছে?"

তরী দুদিকে মাথা দোলালো।
"আমিও সেটা ভেবেছি। আমরা লাঞ্চ করব। এর ফাঁকে কথা বলব"
তরী আর কোনো জবাব দিল না। তন্দ্রা সজাগ হলেও মায়ের কোলে চুপ করে বসে বসে আশপাশটা কৌতুহল নিয়ে দেখছে। পেছনে ইশতি তিড়িংবিড়িং করছে। জিসান সব দেখে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। ওর যায়গায় আজ ওর ভাইয়ের থাকার কথা ছিল।

ইমরান আর তরীর যখন বিয়ে হয়, সেই অনুষ্ঠানের প্রায় সবকিছুই জিসান নিজে সামলেছে। খাবার এরেঞ্জমেন্ট, ভেন্যু ঠিক করা, গেস্টদের খেয়াল রাখা ওই বেশিরভাগ করেছে। সবাই ওকে নিয়ে মজা করত কারণ ছোট ভাই বিয়ে করছে কিন্তু বড় ভাইয়ের বিয়ের খবর নেই। ইমরান আর জিসানকে পাশাপাশি দাঁড় করালে অবশ্য যে কারো জিসানকে ছোট বলে ভুল হতো। জিসানকে দেখে ওর আসল বয়স থেকে কম করে হলেও দশ বছর কম মনে হয় ক্ষেত্র বিশেষে। ওদের বিয়ের সময় তরীর সাথে সেভাবে কথা না হলেও তরীকে খেয়াল করা হয়েছে বহুবার। ওদের দেখে মনে একটা প্রশান্তি কাজ করত, তরী আর ইমরান দুজন দুজনের চোখে হারায়। এমন দম্পতির জন্য মন থেকে দুয়া এমনিতেই আসে, তার উপর তারা যদি হয় ভাই আর ভাইয়ের বউ। জিসান সবসময় ওদের জন্য দুয়া করত। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় জিসান মালেশিয়া চলে যায় ওদের অফিসের কাজে। ওখানে এত বছর থেকে গত বছর থেকে আবার সিলেটে পোস্টিং নিয়েছে। বিদেশের মাটি শেষ পর্যায়ে স্বাদহীন লাগতে শুরু করেছে। যতই সুযোগ থাকুক, নিজের মানুষদের ছেড়ে কেউ বাঁচে? এদিকে ওর ছোট ভাই বোন প্রায় সবাই বিয়ে করে ফেলেছে, আর ও এখনো আইবুড়ো রয়ে গেছে। নিজের তাগিদেই আবার ওর দেশের মাটিতে ফিরে আসা। কে জানত এমন পরিস্থিতি হবে?

ভাবনার গাড়ির তালে তালে ওদের গাড়িও নির্দিষ্ট স্থানে চলে আসে। গাড়ি পার্ক করে ওরা নেমে বিশাল বিল্ডিং এর ভেতর প্রবেশ করল। তন্দ্রাকে কোলে নিয়ে তরী হাঁটছে, আর জিসান খালি স্ট্রলার এক হাত্র ধরে আরেক হাতে ইশতির হাত ধরে রেখেছে। ওরা সরাসরি রুফটপে চলে এলো লিফটে করে। রেস্টুরেন্টটা দুপুরের দিকেও অনেকটা খালি। এর এক কোণে চিল্ড্রেন কর্নার আছে। জিসান ইশতিকে বোঝালো, ঠিক ভাবে খেলে ওখানে খেলতে দেবে। খাবার নিয়ে বসার পর তন্দ্রাকে স্ট্রলারে শুইয়ে দিল তরী। আর ইশতি এদিক ওদিক দেখছে।

ওরা একটা চার চেয়ারের টেবিল বেছে নিয়েছে। জিসানের বাঁ পাশে তরী বসেছে, আর ইশতি জিসানের পাশে। তরী ভেবে পায় না, ওর ছেলেটা হুট করে কিভাবে জিসানের অত ভক্ত হয়ে গেল যে নিজের বাবাকেই ভুলে এই মানুষটাকে বাবা ডাকছে? কোথায়, ইমরান আর জিসানের চেহারাতে তো খুব বেশি মিল নেই। তাহলে? অবাক লাগে ওর। তন্দ্রাও কি একটু বড় হয়ে জিসানকে বাবা ডাকবে? ইমরানের ভাগ্যটা এমন কেন হলো? ওর ভাগ্য কেন এমন হলো?

"কি ভাবছ?"

জিসানের কথায় তরী চমকে উঠল।
"কিছু না"
"কি খাবে?"
"রাইস জাতীয় কিছু একটা হলেই হবে"
ওয়েইটারকে ডেকে অর্ডার দিয়ে তরীর দিকে ফিরল। তরী অস্থির ভঙ্গিতে বলল,
"কি বলার জন্য এখানে নিয়ে এসেছেন? প্লিজ, আগের কথা গুলো বলবেন না। ওসব শুনতে চাই না বলেই আপনার ফোন রিসিভ করা বন্ধ করে দিয়েছি। সবার মুখে এক কথা শুনতে শুনতে... "
"না, আমি আগের কথা বলব না। অন্য কথা বলব। দেখো, আমার ভাই চলে গেছে এখনো এক বছর হয়নি। এখনো আমাদের মনে হয়, এই তো সেদিনও ইমরান আর তোমার বিয়ে হলো, আমরা আড্ডা দিয়েছি, খুলনা বেড়াতে গিয়েছিলাম, ইশতি হলো। এই তো, সেদিনের কথা এগুলো! আমি বুঝি তোমার কেমন লাগে এসব ভাবলে। এইটুকু সময়ে কেউ এই সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তাই আমি ভাবছি, এই চিন্তাটাই বাদ দিয়ে দিব। অন্য একটা চিন্তা মাথায় এসেছে আমার"

তরী এবার আগ্রহ বোধ করছে, কিন্তু ভেতর থেকে ভয়টাও কাটছে না। জিসানের মাথায় সুবুদ্ধি না কুবুদ্ধি কে জানে! জিসান বলে যাচ্ছে,
"আমি অনেক ভেবেছি, ইশতিকে আমি আব্বু ডাকা থেকে আটকাতে পারব না। ও যখন আমাকে আব্বু ডাকে, আমার ভেতর কেমন অনুভূত হয়, সেটা আমি তোমাকে বুঝাতে পারব না। আমার মনে হয় না আমি ওর বাবা না, ও আমার ভাইয়ের ছেলে। আমার মনে হয়, ও আমারই ছেলে। ওর সেই ছোট্টবেলার শরীরটা, সেই রূপ বারবার চোখে ভাসে। আমি ওকে মানা করতে পারব না। এজন্য একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছি"

তরীর বুক দুরুদুরু করছে। জিসান কি ইশতিকে নিজের কাছে নিয়ে যাবে? ও ছেলে ছাড়া কিভাবে থাকবে? ইশতিকে ছাড়া থাকা ওর পক্ষে অসম্ভব। ছেলে যতই যন্ত্রণা দিক, ও ইমরানের মত হয়েছে। তরী পারবে না জিসানকে এই ছেলে দিয়ে দিতে, অসম্ভব! তরীর চোখে পানি টলমল করছে। কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলল,
"কি সিদ্ধান্ত?"

জিসান হাসিমুখে বলল,
"তোমাদের তিনজনকেই সিলেটে নিয়ে যাবো!"

এবার তরী শঙ্কা মুক্ত হলেও অবাকও হয়েছে।
"আমরা সিলেটে যাবো?"
"হ্যাঁ। তোমার শ্বশুরবাড়িতে তুমি থাকবে না? ওখানে থাকার অধিকার তোমার আছে। আমি মাঝে মাঝে আসা যাওয়া করব, তাহলে ইশতিও এত বিরক্ত করবে না। এমনিতেই ঢাকা টু সিলেট জার্নি করতে করতে আমি অনেক ক্লান্ত হয়ে যাই। তোমরা ওখানে থাকলে সুবিধা হবে"
"আর আমার খরচাপাতি? ওদের খরচাপাতি? এখানে তো আব্বু দিচ্ছেই, কিন্তু ওখানে..."
"চিন্তার কোনো কারণ নেই। চাচার তো কম নেই।তাছাড়া তুমি তো চাকরি করতে চাচ্ছিলে। ওখানে আমার অনেক বন্ধু আছে, একটা ব্যবস্থা হবে। দুই জনের সাথে কথা হয়েছে আমার। তুমি আমাকে তোমার সিভি মেইল করে দিও। তবে আমার একটা সাজেশন আছে"
"কি সাজেশন?"
"আমি বলছি, আরও কয়েক মাস সময় নাও। তন্দ্রা বড় হোক আরেকটু। তারপর না হয় চাকরি করো? ততদিন পর্যন্ত চাচা দেখবে। আর লাগলে আমি দিব"
"আপনি কেন দিবেন? আশ্চর্য! আমিও বা আপনার কাছ থেকে কেন নিব?!"

তরী তৎক্ষনাৎ দেয়া জবাবে জিসান দমে গেল কিছুটা। অন্য দিকে দৃষ্টি সরিয়ে বলল,
"বাচ্চাদের দায়িত্ব নিতে চাই আমি, আমার কোনো আপত্তি নেই এ নিয়ে। ওদের নিয়ে তুমি একা কষ্ট করবে, এটা ঠিক না। আমিও ওদের খেয়াল রাখতে চাই"
তরী দুইহাতের আঙুলের ফাঁকে আঙুল গুঁজে টেবিলের উপর মুঠ করে হাত রাখলো। কিছু মুখ ঝুঁকিয়ে বলল,
"আপনার অভিপ্রায় জানান আমাকে একটু। আমি আপনার মুখে এই কথাটা শুনতে চাই। আপনিই কি শুরুতে আমাকে বিয়ে করতে চেয়েছেন? এখনো চান?"

জিসানের মুখে কোনো অভিব্যক্তি নেই। তবে ওর চোখ অনেক কথা বলছে। কি বলছে ওর চোখ? তরী পড়তে পারছে না। জিসান বেশ শান্তভাবে জবাব দিল,
"তুমি কি সত্য জানতে চাও? ঠিক আছে শোনো। যখন প্রথম ইশতি আমাকে আব্বু ডাকে, তখন থেকেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তোমাকে বিয়ে করব। মুরুব্বিরা যখন এই প্রস্তাব দিয়েছিল, তখন আমি রাজীও হয়েছি। আমিও চাচ্ছিলাম আমাদের বিয়েটা হয়ে যাক, বাচ্চারা বাবার আদর পাবে। না, আমি কখনো ওদের বুঝতে দিব না যে ওরা আমার ভাইয়ের সন্তান। আমি কখনো ওদের বাবার অভাব অনুভব করতে দিব না। তোমার বাবা মাও রাজী হয়ে যান কারণ সবাই জানে তুমি যদি দুই সন্তান নিয়ে সিঙ্গেল মাদার হতে চাও, তোমার কত সমস্যা হবে। তার উপর তোমার অন্য কোথাও বিয়ে করতেও অসুবিধা হবে। হয়ত সেই পরিবার ওদেরকে মানবে না, কিংবা মানলেও ওরা সেই ভালোবাসা সেখানে পাবে না। তার চেয়ে ওরা আমাদের পরিবারের সন্তান, আমাদের পরিবারেই থাকবে, সেটাই ভালো না? আমি তো রাজী, আমার কোনো আপত্তি ছিল না, আজও নেই। কিন্তু তুমিই রাজী হওনি। আমি জানি, তোমার জন্য এটা কোনো সহজ সিদ্ধান্ত না। আমিও ওদের জন্যই বিয়ে করতে চেয়েছি। আমার প্রথম বিয়ে, তুমি আমার ভাইয়ের স্ত্রী, আমি তোমার ভাসুর- এ সব সম্পর্কের সমীকরণ পিছে ফেলে শুধু দুটো নিষ্পাপ বাচ্চার জন্য আমি চেয়েছিলাম"

"আপনার কি একবারও অকওয়ার্ড লাগেনি যে আমার সাথে কিভাবে সংসার করবেন? আই মিন, আমার সাথে তো আপনার পরিচয় হয়েছে ইমরানের বড় ভাই হিসেবে। আমিও আপনাকে বড় ভাই মানতাম। সেখানে..."

জিসান ওকে হাত তুলে থামিয়ে দিল।
"তরী, তুমি ভুল করছ। আমি ইমরানের চাচাতো ভাই, তোমার ভাই না। আপন ভাই ছাড়া আর সবার সাথে মেয়েদের বিয়ে জায়েজ। আমরা এই সমাজে ভাই বোন বানাই, ভাই বোন ভাবি অথচ ইসলাম যেখানে আমাদের বিয়ের সুযোগ দিয়ে রেখেছে, সেটাকে জোর করে আবেগ দিয়ে হারাম বানানোর চেষ্টা করি। হ্যাঁ, যদি আজ কেবল তুমি থাকতে, তাহলে ভালো অকওয়ার্ড লাগত। কিন্তু এখন বাচ্চারা আছে, বাচ্চাদের প্রতি আমার ফোকাস"

তরী চুপ করে আছে। ওর মনে হচ্ছে, ওর তো আপন কোনো ভাই নেই। এখন ওর জন্য সব ভাই, ভাসুর, দেবর, সবাই জায়েজ। যে যতই ভাই বোনের ফুলঝুরি মুখে নিয়ে ওর কাছে আসুক, ও কারো সাথে আর সহজ হতে পারবে না। জিসান বলল,
"বাদ দাও এসব। তোমার সিলেটে যাওয়ার ব্যাপারে আমি চাচীর সাথে কথা বলেছি। চাচী রাজি গেছেন। ওখানে গিয়ে কিছুদিন থাকো, আমি মাঝে মাঝে এসে দেখে যাবো"
"আম্মা তো আমাকে কিছুই বলল না"
"বলবে হয়ত, আজই কথা বললাম। সমস্যা নেই, আমি ওদের খরচাপাতি দিব"
"লাগবে না। ইমরানের জমানো টাকা আছে, ম্যানেজ হবে"
"তরী, শুধু শুধু নিজের ইগোকে সামনে এনো না। বিয়েটা না করো, অন্তত ওদের দায়িত্ব নেয়া থেকে বঞ্চিত করো না আমাকে? ওদের প্রতি ভালোবাসা থেকেই আমি এই কাজটা করব, বোঝা হিসেবে না।শুধু শুধু নিজেদের সেভিংস ভেঙো না, ওগুলো ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখো। কাজে লাগবে"

এরপর আর তরী কিছু বলল না। সারাক্ষণ শুধু ভাবলো, ও কি সিদ্ধান্ত নিবে? এটা আবার ওকে বিয়েতে রাজী করানোর নতুন চাল নয় তো? তরীর অস্থির লাগছে, বাসায় যেতে হবে। খেয়া ছাড়া ওর ট্রাস্টেবল এডভাইজার আর কেউ নেই।

চলবে...

Bạn đang đọc truyện trên: Truyen2U.Pro