Màu nền
Font chữ
Font size
Chiều cao dòng

আমি আবার, আর একটা বার
লেখা #AbiarMaria

তরী গোসল করে টয়লেট থেকে বের হলো। মা মানেই সারাক্ষণ দৌড়ের উপর থাকা। গোসলেও এত তাড়াহুড়ো করতে হয় যে বেশিরভাগ সময় শ্যাম্পু করার সময়ও পাওয়া যায়না। তরী দুই সন্তানকে গোসল করিয়ে নিজে দুই মিনিটে গায়ে পানি ঢেলে বেরিয়েছে। ঘর থেকে বের হয়ে দেখল ওর ননদ ইকরা তন্দ্রাকে নিয়ে খেলছে। তন্দ্রা এটুকু বয়সে খুব ভালভাবে ফুফুর কোল চিনে নিয়েছে। হাতের কাপড় গুলো বারান্দায় ছড়িয়ে দিতে দিতে ইকরাকে প্রশ্ন করল,
"কখন এসছ ভার্সিটি থেকে?"
"এইতো ভাবি, একটু আগে। দেখো, তোমার মেয়েটা একেবারে তোমার মত করে হাসে। এই যে, হাসলে গালে টোল পড়ে!"

তরী স্মিত হাসলো। ওদের পাশে বসে বলল,
"তোমার ভাইয়ার ঘরটা ঠিক আগের মতই করে রেখেছ। আমি যদি কিছু বদলাই, আম্মা কি রাগ করবে?"
"তা তো জানি না। কিন্তু কি বদলাবেন ভাবি?"
"এখনও জানি না। কিন্তু মনে হচ্ছে একটু চেঞ্জ আনা দরকার। চেঞ্জ আনলে ঘরটা আরও বড় লাগবে। ফার্নিচার সেটিং এর কারণে ঘরটা ছোট লাগে একটু"
"চেঞ্জ করতে পারেন, আম্মা কিছু বলবে না। আপনারই তো ঘর এটা"

তরী ভাবছে, আসলেই কি তার? কতদিনের জন্য তার? এখানে ঠিক কত দিন টিকতে পারবে? নিজের একটা চাকরি না হলে অবস্থান শক্ত হবে না, ভয় থেকেই যাবে। জিসান ওকে চাকরির ব্যবস্থা করে  দিবে তো? যদি না দেয়, তখন? সিলেটের তেমন কিছু তো ওর চেনা নেই। একা একা কিভাবে সব সামলাবে?

নানান চিন্তায় যখন সে বিভোর, তখন ইশতি নাচতে নাচতে ওর কাছে এসে বলল,
"আম্মু, আব্বু আসছে! আব্বু বলছে আজকে আমার সাথে সারাদিন থাকবে! ইয়ে এ এ এ এ!"

জিসান এসেছে? এক্ষুনি? ওরা এসে পৌঁছেছে দুই ঘন্টাও হবে না, এর মাঝেই হাজির? তর সইছিল না নাকি? তরী বিরক্ত হয়। এই মানুষটাকে আগে বেশ ভালো লাগত তার ব্যক্তিত্বের কারণে। মূলত তরী মানুষকে পছন্দ করে চেহারা নয়, ব্যক্তিত্ব দিয়ে। ব্যক্তিত্বহীন মানুষদের সাথে তরী বেশিক্ষণ কথাও বলতে পারে না, বিরক্তিতে শরীর রী রী করে। আর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের মানুষ পেলে সে একেবারে হাঁ করে তাকিয়ে থাকে, সে যেই হোক। তরীর আগে জিসানকে যেমন ভালো লাগত, এখন বিয়ের কথা শুরু হওয়ার পর থেকে ভালো লাগার স্থান বদলে বিরক্তি যায়গা করে নিয়েছে। আসার আগে কিছু দিন ধরে খেয়া কানের কাছে এটাই বারবার ঘ্যানর ঘ্যানর করে বুঝিয়েছে, জিসান ওকে পছন্দ করে। কারণ ওদের টিকেট কাটা থেকে শুরু করে ড্রাইভার পাঠিয়ে বাসায় পৌঁছে দেয়া- সব কাজ জিসান করেছে। তাছাড়া কয়েকবার ওদের ফোনেও কথা হয়েছে। তরী যখন কল রিসিভ করত, তখন খেয়া ফোনের অন্যপাশে কান লাগিয়ে বসে থাকত। জিসানের কথার টোন, কেয়ারিং, সব কিছুতে পছন্দ করার একটা আভাস পাওয়া যায়। খেয়া হাতে কিল মেরে বলেছে,
"আমি জানি এই লোক এখন তোমার প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে! আমি কিছুতেই ভুল হতে পারি না! নিশ্চিত থাকো, উনি তোমাকে ঠিক ঠিক প্রপোজ করবে!"

খেয়াকে রাগ দেখিয়ে খেদিয়ে দিলেও তরীর এখন জিসানের নাম শুনলেও সমস্ত শরীরে অস্বস্তি কাঁটা দিয়ে ওঠে। এই লোক কখন আবার কি করে বসে, তখন তরী নিজেকে কি করে সামলাবে?

খাবার টেবিলে পৌঁছে তরী দেখলো অনেক রকম খাবার রান্না হয়েছে আজ। ওর শ্বাশুড়ি নাজনীন তার একমাত্র ছেলের বউকে বউ নয়, মেয়ে হিসেবে দেখেন এবং সেভাবেই আদর করেন। তরীর ভেবেছিল, উনি হয়ত ইমরানের চলে যাওয়ার পরও মেয়ে হিসেবে নিজের কাছে রাখবেন। অথচ উনি কিনা দেবরের ছেলের হাতে ওকে তুলে দিতে চান? আশ্চর্য!

খাবার টেবিলে বেশ কিছুক্ষণ পর জিসান ইশিতকে কোলে নিয়ে হাজির হলো। তরীকে দেখে মিষ্টি হাসি উপহার দিয়ে টুকটাক কথাও বলল। তরী আড়চোখে জিসানকে খেয়াল করছে। ও ভালো ভাবে বুঝতে চাচ্ছে, ওর মনের ভেতর কি কাজ করছে? জিসান কেন এসেছে এই বাসায়? শুধুই বাচ্চাদের জন্য? নাহ, এটা সম্ভব না। যত দ্রুত সম্ভব খাওয়া শেষ করে ও ইশতিকে খাইয়ে দিতে চাইলো। ইশতি মুখ গোঁজ করে বলল,
"আমি আব্বুর হাতে খাবো!"
"কিন্তু বাবা, তুমি ডিস্টার্ব করবে তো না খেয়ে! বিরক্ত হবে সবাই!"
"না, আমি খাবো। আমি বিরক্ত করব না!"

ইমরানের বাবা আজমল মুখ খুললেন।
"তরী, জিসানের হাতেই খাক ও, সমস্যা কি? জোর করে খাওয়াতে চাইলে ও তো তোমাকে উল্টো বিরক্ত করবে!"
"কিন্তু বাবা, জিসান ভাইয়া তো সবসময় থাকবে না। তখন ও জেদ করবে। আপনারা বুঝতে পারছেন না"

জিসান ওর কথার মাঝে বাঁধা দিল।
"থাকব না কেন? আমি তো এখন থেকে রেগুলার আসব এই বাসায়৷ খেতে চাইলে খাবে, সমস্যা কি? তোমার কাজ কিছুটা কমবে। ওদের খাওয়ানো, গোসল করানো, সব কিছু করতে করতে তোমার তো  নিজের দিকে খেয়াল রাখা হয় না"
আজমল মাথা নাড়লেন।
"জিসানের কথা কিন্তু ঠিক। তরী মা, তুমি কিন্তু নাতি নাতনীদের খেয়াল রাখতে রাখতে নিজের দিকে তাকানোর সময় পাচ্ছো না। একটু নিজেকে সময় দাও, যত্ন করো। আমরা তো আছিই। ইশতির খাওয়ায় কোনো সমস্যা হবে না। ঠিক না দাদু ভাই?"

ইশতি খুশিতে দাঁত বের করে আছে। ওর মা এখন ওকে চিপায় ফেলে জোর করে ভাত গেলাবে না, এটা ভেবে ওর অনেক আনন্দ হচ্ছে। সে অত্যন্ত আগ্রহ নিয়ে জিসানের হাতে ছোট ছোট লোকমা দিয়ে খাচ্ছে আর মাথা নাড়ছে।

তরী এসব দেখে কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। কেউ কেন বুঝতে পারছে না যে, একজন মায়ের তার সন্তানদের নিজের হাতে খাওয়াতে কত শান্তি লাগে? ইশতি যখনই অন্য কারো হাতে খায়, তখন ওর মনে হয়, ছেলের খাওয়া ঠিকভাবে হয়নি। সুযোগ পেলেই ও আবার ভাত মাখিয়ে নিয়ে আসে। ওর সবসময় মনে হয়, ও না খাওয়ালে ছেলের পুষ্টির অপূর্ণতা থেকে যাবে।খেয়া কিংবা ওর মাও যখন ইশতিকে খাইয়ে দিত, তখনও ওর শান্তি হতো না। এখন কি ওদের সবার উপর দিয়ে জোর করবে? জিসানের উপর মেজাজ গরম হচ্ছে। সে কি চাচ্ছে ইশতিকে সম্পূর্ণ নিজের দখলে নিয়ে নিতে? কেন ভাই? কি দরকার এত আলগা পিরিতির? সবসময় জিসান কি ওকে এভাবে ভালোবাসবে? যদি জিসান কখনো ব্যস্ত হয়ে যায়, বিশেষ করে ওর সাথে বিয়ে না হলে যদি অন্য কোথাও বিয়ে করে, তখন নিশ্চয়ই ইশতিকে আর আগের মত ভালোবাসবে না? তরী মাথা ভর্তি টেনশন নিয়ে খাবার টেবিল থেকে উঠে আসে। এমন সব চিন্তা ওর মাথায় গেঁড়ে বসেছে, যেগুলো কাউকে বলার মতও না। কখন একটু ফাঁকা সময় পাবে আর খেয়াকে ফোন দিবে? ভালো লাগছে না ওর।

জিসান সেদিন আর বাইরে যায়নি। দুপুরে খাওয়ার পর সে গেস্ট রুমে গিয়ে ইশতিকে বুকের উপর নিয়ে খেলছিল। খেলতে খেলতে এক সময় ইশতি ওর বুকের উপর ঘুমিয়ে পড়ল যেহেতু ওরা খুব সকালে উঠে জার্নি করেছে। তরী পর্দার আড়াল থেকে দেখলো, জিসান ওর ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। পর্দা সরিয়ে কন্ঠ নামিয়ে ও বলল,
"ইশতিকে আমার কাছে দিন"
"থাক না আমার কাছে, ঘুমাচ্ছে তো। এক যায়গায় ঘুমালেই হলো"
"কিন্তু আপনার ডিস্টার্ব হবে। ও খুব নড়াচড়া করে ঘুমের মাঝে"
"সমস্যা নেই, কিছু হবে না। বড় আপুর ছেলে মেয়েগুলোও তো আমার সাথে ঘুমায়। বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমানোর অভ্যাস আছে আমার"

তরী আর কিছু না বলে চলে আসে। ওর অস্বস্তি লাগছে জিসানের সাথে ইশতির এত মাখামাখি। অবশ্য এই মাখামাখিকে প্রশ্রয় দিতেই তো সিলেটে আসা। না আসেও বা উপায় কি, শ্বশুর শাশুড়ি তার বাবা মাকে বলেছে, শ্বশুর তাকে নিতে এসেছে, তারা তাদের বৌকে নিজেদের কাছে রাখতে চায়। তরী মেয়েকে নিয়ে শুয়ে আছে। আজকাল তন্দ্রা একা একা উলটে যায়, তারপর ঘাড় উঁচিয়ে মাকে দেখে দন্তহীন হাসি উপহার দেয়। এই দৃশ্য তরীর মনে অনাবিল প্রশান্তির পরশ বুলিয়ে দেয়।

সারাদিন এমন কি ঘুম থেকে জেগেও ইশতি জিসানের সাথে আঠার মত লেগে রইল। যদি ইমরানের সাথে ইশতি এভাবে লেগে থাকত, তাহলে মা হিসেবে তরীর জন্য সেটা সবচেয়ে মোহময় অনিন্দ্য সুন্দর মুহূর্ত হতো। কিন্তু জিসানের সাথে ইশতিকে দেখে তরীর সম্পূর্ন বিপরীত অনুভূতি হচ্ছে। ঠোঁটে ঠোঁট চেপে ওর অনুভূতি লুকাচ্ছে প্রতি মিনিটে।

রাতেও যখন ইশতি ওর হাতে খেলো না, তখন ওর মেজাজ চড়ে গেল। সেই মেজাজের ঝাঁজ প্রকাশ পেলো তখন যখন ইশতি জিসানের সাথে ওর বাসায় যাওয়ার জন্য জেদ ধরতে শুরু করল। জিসান বুঝানোর পরও ইশতি জেদ করছিল। তরী তখন ওকে টেনে নিয়ে চেঁচিয়ে বলল,
"তোমার বাসা এটা! এখন থেকে এই বাসাতেই তুই থাকবি! জেদ দেখাবি না একদম!"

ইশতি কেঁদে কেঁদে বলল,
"আমি আব্বুর সাথে আব্বুর বাসায় যাবো!"
"ঐটা তোর আব্বু না, চাচ্চু! চাচ্চু বল?! চাচ্চুর বাসায় যাওয়া যাবে না! চাচ্চু আব্বু হয় না!"
"না, এটা আমার আব্বু!"
ইশতি জিসানের প্যান্ট খামচে ধরেছে। তরী ওকে টেনে ছাড়িয়ে নিয়ে গালে একটা চড় বসিয়ে দিল। চিৎকার করে বলল,
"তোর বাপ মরে গেছে! তোর বাপ নাই! তোর বাপ মা সব আমি! আরেকজনকে বাপ ডাকবি না! থাপ্পড় মারব যদি আরেকবার আমার সামনে জেদ দেখাতে দেখি!"

তরীর চিৎকারে ওর শ্বশুর শাশুড়ি, ননদ তিনজনই উঠে আসলো। তরী ইশতিকে এক টানে কোলে নিয়ে ঘুরে চলে আসতে চাইলে জিসান ওর এক জাত চেপে ধরল। চাপা কন্ঠে প্রশ্ন করল,
"কেন তরী?!"

তরী ওর হাতে ছুটিয়ে নিজের ঘরে চলে এলো। ইশতি মায়ের কোলে কান্না করছে। তরীর কলিজাতে গিয়ে সেই কান্না আঘাত করছে। ছেলের গাল লাল হয়ে গেছে, এটা দেখে ওর নিজের গালে নিজের থাপড়াতে ইচ্ছা করছে। এই প্রথম সে ইশতির গালে মেরেছে। বাচ্চাদের মুখে আঘাত করা ওর সবচেয়ে অপছন্দের কাজ। ছেলেকে বুকে চেপে আদর করে শুইয়ে দিক। তন্দ্রা হাত পা ছোটাছুটি করছিল শুয়ে শুয়ে, মা আর ভাইয়ের উপস্থিতি টের পেয়ে সে এখন চোখ বড় বড় করে দেখছে। তরী ছেলেকে বুকে জড়িয়ে শুয়ে পড়ল। ইশতি ওর বুকে মুখ গুঁজে কেঁদে কেঁদে বারবার বলছে, "আমি আব্বুর কাছে যাবো! আব্বুর কাছে যাবো!" তরীর চোখ বেয়ে নোনাজলের ধারা অবিরামভাবে গড়িয়ে পড়ছে। ইমরানের উপর বড্ড অভিমান হচ্ছে এমন অসময়ে এভাবে ওকে ফেলে যাওয়ায়।

রাত ১২ টার দিকে জিসান তরীর নাম্বারে ডায়াল করল। একা ঘরে বসে বসে ডায়াল করছে, কিন্তু তরী রিসিভ করছে না। তৃতীয় বার কল বাজার পর তরীর কন্ঠ ভেসে উঠল ওপাশে।
"ঘুমিয়ে পড়েছিলে?"
"না। শুয়ে ছিলাম"
"তরী, তুমি ইশতিকে এভাবে মারবা না আর কখনো। বাচ্চাদের এভাবে মারলে ওরা নষ্ট হয়ে যায়"
"আমাকে উপদেশ না দিয়ে আপনি বরং ওর সব জেদ পূরণ করা বন্ধ করুন! আপনার কারণে ও আমার সাথে জেদ দেখানো আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনি যে ওকে নষ্ট করছেন, সে খেয়াল আছে?"
"তরী, ও তো ছোট বাচ্চা!"
"এক্সাক্টলি! ও জানেনা কোনটা ঠিক আর কোনটা ভুল, আপনি জানেন। আপনি কেন ওর জেদ পূরণ করেন? ও এক সময় বুঝে যাবে যে আমরা ওর জেদের কাছে দুর্বল। তখন আমি কিছু না মানলেও আপনাকে ঠিক মানিয়ে ফেলবে! কেন এগুলো করে ওকে উস্কে দিচ্ছেন? এক সময় তো আপনি চলে যাবেন। তখন ওকে আমি একা কি করে সামলাবো ভেবেছেন?"
"আমি কোথায় যাবো?"
"যেতে পারেন না? আপনার কি দায় পড়েছে সারা জীবন ওকে টানার?"

উত্তরটা জিসানের ঠোঁটের আগায় থাকলেও বলল না। তরীকে বলে কোনো লাভ হবে না, হিতে বিপরীত হবে বরং। কখনো সুযোগ হলে ও এই উত্তর দিবে। তরী ওকে চুপ থাকতে দেখে আবারও বলছে,
"প্লিজ, ওকে বুঝান যে আপনি ওর বাবা না, আপনি ওর চাচ্চু। ওকে ভুল শেখাবেন না, প্লিজ!"
"একটা এতিম বাচ্চা যে আমাকে বাবা ডেকে নিজেকে পরিপূর্ণ ভাবছে, তার ছোট্ট মনে এটা ঢুকাতে বলছ যে তার আসলে বাবা নেই আর সে অপরিপূর্ণ?"

তরী থেমে গেল। জিসান বলে চলেছে,
"তরী, ইশতি আমার কাছে অনেক কিছু। অনেক মানে অনেক কিছু। কেন, সেটা অন্য এক সময় বলব। ও আমাকে বাবা ডাকলে আমারও শান্তি লাগে। আমি কোনোদিন ওকে বলতে পারব না যে আমি ওর বাবা না। বরং আমি সুযোগ পেলেই ওকে বুঝাবো, আমি ওর বাবা এবং ওর বাবা বেঁচে আছে, মরে যায় নি। প্লিজ তরী, ইশতিকে বলো না যে ওর বাবা নেই"

কথাটুকু বলে জিসান কল ডিসকানেক্ট করে দিল। হাতের সিগারেট জ্বালাবে না ভেবেছিল, জ্বালাতে বাধ্য হলো। এক টান দিয়ে ধোঁয়া উড়িয়ে দিল নিজের চারপাশে। ওর নিজের একটা ঘর আছে ছাদে, চিলেকোঠা ঘর। ঘর থেকে বের হয়ে সে রাতের আকাশের দিকে চাইলো। কবে ওর ভাগ্য একটু সুপ্রসন্ন হবে? কবে ওকে আর ধোঁয়া টানতে হবে না? ধোঁয়া উড়িয়ে স্বস্তি খুঁজতে হবে না?

চলবে...

Bạn đang đọc truyện trên: Truyen2U.Pro